কবিতা

কবিতা- কুমারী মা

কুমারী মা
-অযান্ত্রিক


আমি তখন তদারকিতে ,আমি তখন সবুজ,
নীল রঙের ওই পাহাড় থেকে ঝর্ণা ধারায় বাঁধ।
মেঘের দেশের ও মেয়ে তুই ,কেন যে দিলি ছুঁয়ে,
কেন যে তুই মরবি বলে, খাদে বাড়ালি হাত।

নিবাস জানি পাদ্রী পাড়ায়, ঝর্না ডাক নামে,
আসতে যেতে পরিচয় হয়,বাঁধ গড়ার ওই গ্রামে।
এক বিকালে হঠাৎ কোনো ঝড়ের নির্দেশে,
আঁধার মুখে উড়তে চাইলি খাদের ধারে এসে।

পিছলে গেলে মেয়েবেলা ওই, নষ্ট হয়ে যায়,
ভালোবাসার সাক্ষী যে আজ প্রকাশ পেতে চায়।
হাত ছেড়েছে ওপার মানুষ,মানতে গেলে কস্ট,
প্রেমের নামে ঠকে গিয়ে তুই করবি জীবন নষ্ট।

আমি তখন তদারকিতে,আমি তখন সবুজ,
নারাজ তোকে মরতে দিতে ,এক্কে বারে অবুঝ।
জাপ্টে ধরে পথ কেটেছি ,আটকে ধরে নদী,
রাখবো তোকে নিজের কাছে,হাতটা ধরিস যদি।

কি যায় আসে,করলে শুরু আবার প্রথম থেকে,
সহজ সরল পথটা নাহয় একটু গেল বেঁকে।
জন্ম দিবি আকশ নাহয়,জন্ম দিবি মেঘ,
পাহাড় বুকেই ঝর্ণা নামে একটু দেখে শেখ।

আমি নাহয় পিতা হলাম ,রক্তে না হোক পালক,
মুখ ঢাকা ওই অন্ধকারে হলাম নাহয় আলোক।
আমি নাহয় পাহাড় হলাম তুই হলি ঝর্ণা,
মা যে বড় পবিত্র রে, মেরীও কুমারী মা।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page