মুক্ত গদ্য

মুক্তগদ্য- আলোকবর্তিকা

আলোকবর্তিকা
-সুজিত চ্যাটার্জি

 

পাহাড়ের গুহায় নির্জনে গভীর সাধনায় সাধু সিদ্ধিলাভে মুক্তি প্রাপ্ত হলো। তাতে মানব জাতির কি এসে গেল? সে তো সাধুর নিজস্বতা। সেই জ্ঞান উপলব্ধি যদি বহু মানুষের হিতসাধন না করে, তবে তা মূল্যহীন। নিজস্ব সৃষ্টিধর্মী চেতনা যদি বহু মানুষের মধ্যে বিস্তারিত না হয়, তবে তা নিজস্ব হয়েই থাকে, তা নিয়ে জনমানস চিন্তিত হয়না।
জগতের শ্রেষ্ঠ কবি, সাহিত্যিক লেখকগণ, যদি তাদের রত্নভান্ডার জগতবাসীকে বঞ্চিত করে নিজস্ব সিন্দুকে বন্দী করে রাখতেন, তাহলে কি মানবজাতি তাদের জানতে কিংবা চিনতে পারতেন। সাধক সূফীগণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাদের সুললিত সুচেতন বাণী, জগতবাসীকে শিক্ষিত দীক্ষিত করেছে। সভ্যতার বিকাশ সাধন সহায়ক হয়েছে।
তাই লুকিয়ে থাকা বা লুকিয়ে রাখা নয়। মনের প্রদীপ মনে জ্বালিয়ে নিভিয়ে ফেলা নয়। প্রকাশ করো, আলোকিত করো, এ পৃথিবী তোমারও। এসেছো যখন, আলো জ্বেলে যাও।
চলে যাবো শেষ কথা, এসেছিলাম, অনেক বড়ো কথা। সুচিহ্ন রেখে যাবো, এই হোক প্রতিজ্ঞা।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page