পৃথিবীটা উল্টো ঘুরছে
-ঋজু
মনে মনে ছাপাখানার ক্যাশ বাক্স সমৃদ্ধ হচ্ছে দিনে দিনে।
তক্ষশিলার তাকে তাকে চটী বই;
ডেকরেশন বলতে ছাদ থেকে ঝুলন্ত খাঁচা;খাঁচায় বন্দী দাঁড়কাক।
মনে মনে প্রতিদিন মিউজিয়ামগুলো পুড়ে মুছে যাচ্ছে-পূর্ববর্তী ইতিহাসের উত্তরাধিকারী ইনভেস্টমেন্ট আনছে পরবর্তী ইতিহাস।
মনে মনে আসিফা-ট্যুইঙ্কেলদের ধ্বংসস্তূপে ঝরছে কবরের নিস্তব্ধতা।
দেহে পোষাক বলতে শুধু চোখে বাঁধা কাপড়টুকু; বাকিটা ঘেমোগন্ধের, মেদময়, লোমশ, নরম, লতানো, ল্যাংটো মাংস।
নিজেদের কুকুরত্বের দিব্যি কেটে মোমবাতি মিছিল চলছে চটকল থেকে চকলেট।
হাঁটছেন একশো বছরের যুবক ও ট্রান্সপ্লান্ট করে স্তন-নিতম্ভ বড়ো করা মানসিক ভিখারীনিরাও।
সারা পৃথিবীর মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়েছে;
যারা একদিন স্লোগান হতে পারতো-সেসব বিশাল ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়োগুলোকে এডিটরে নাচানো হচ্ছে মার্কেজের দুঃখিনী বেশ্যাদের সাথে।
প্রতিদিন গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার বামিয়ান।
শ্রমিক পুঁজি গড়ছে; পুঁজি গড়ছে শ্রমিক,
নিজেকে নিজে উৎপন্ন করছে সবাই-ই।
নবজাতক ইনভেস্টমেন্ট
মানুষ পণ্য চোখ ধর্ষক।
মেরুদণ্ড ইনস্টলমেন্টের ফ্ল্যাটবাড়ি।
হৃৎপিণ্ডে জড়ানো কন্ডোম।
জি.এস.টি. লেগেছে আন্দোলনে।
পৃথিবীটা উল্টো ঘুরছে…
চলুন আগুন জ্বালাই।