সহজিয়া
-সঞ্জয় গায়েন
– সত্যি করে বলো তো আমাকে দেখে আগে মেয়ে বলে মনে হত?
– হ্যাঁ।
– নাঃ! তুমি মিথ্যে বলছ!
– বা রে! শুধু শুধু মিথ্যে বলতে যাব কেন!
– মেয়েদের মতো আমার তো কিচ্ছু ছিল না। শুধু মনে মনে আমি নারী ছিলাম। কিন্তু মনের অনুভব তো শরীরে থাকে না! তাহলে আমাকে দেখে মেয়ে মনে হত কি করে!
– আমি তো বাইরেটা দেখি না। অন্তরের গভীরে…
– সান্ত্বনা দিচ্ছ ! দিও না! আমি জানি পুরুষ নারীকে চেনে বুকের খাঁজ দেখে।
– তাই বুঝি!
– হুম।
– সেজন্য বুঝি অমন সুডৌল স্তন তৈরি করেছো?
– নাঃ! পুরুষকে সুখী করতে বা পুরুষ সঙ্গী পেতে এসব করি নি।
– এবার তুমি মিথ্যে বলছ।
– মোটেও না।
– সত্যি বলছ তুমি চাও না একজন মনের মানুষ হোক?
– তা চাইব না কেন?
– তবে?
– মনের মতো খুব কাছের একজন হোক সে তো চাই। কিন্তু সেই চাওয়া যেন শুধুই যৌনতার জন্য না হয়।
– যদি তা হয়ও ক্ষতি কি? যৌনতার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে কেউ তো কাছে এসে ধরা দিতেই পারে।
– কি বলছ তুমি! যৌনতা আবার কবে সৌন্দর্যের স্বীকৃতি পেল?
– সৃষ্টির আদিকাল থেকে পেয়ে আসছে। শুধু…
– শুধু কি?
– শুধু এই আধুনিক যুগে এসে তাকে মোড়কে ঢাকার বৃথা চেষ্টা করা হচ্ছে।
– উফ্! অত ভারি ভারি কথা বুঝি না। সহজ করে বলো।
– সহজ করেই তো বলছি, চলো আজ থেকে আমরা সহজিয়া হয়ে যাই।