প্রেমের অঞ্জলি
-ভাস্কর বোস
‘অনামিকা’অনুভব কতটা তীব্র হোলে-
প্রেম স্বর্গীয় অনুভবে আসে?
কুঞ্জবীথির লতাগুল্মের মধ্যে দিয়ে হেঁটে এসে,
পুষ্করিণীর দিকে দৃষ্টি গেলে,-
তোমার স্নানরতা দেহ চোখে ভাসে।।
পদতলে শুষ্ক পাতার খসখস শব্দ গুঞ্জরন তোলে।
ফিসফিস সেই ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয় বাতাসে।
আমার কনীনিকা থেকে আলো বয়ে-
নয়ন বিদ্ধ করে তোমার দেহসৌষ্ঠবকে।
তোমার জল চলকানোর ঢেউয়ে-
তরঙ্গ যখন এপারে এসে ঠেকে,
পরিষ্কার বুঝতে পারি, তা আমাকে-
তোমার স্পর্শ দিয়ে অগাধ ভালবাসে।
ফিরে আসা ঢেউকে করতলে ছুঁয়ে-
ফিরিয়ে দিই পুনরায় তোমার দিকে।
দেখি তুমি আঁজলা ভরে জল নিয়ে-
মুখাবয়বের সর্বাঙ্গে মিশিয়ে নিলে।
মনে হোল,তুমি বুঝি শিহরিত হোলে!
হতেই হবে। আসলে শিহরণ তোলে-
একমাত্র আমার’ই স্পর্শ পেলে।
এই সেই প্রেম যা থাকে বুকের ভিতরে-
ভীষণ রকম তীব্র অনুভবের গভীরে।
যখন তুমি উঠে দাঁড়াও, সিক্ত শরীরে-
তোমার সৌন্দর্যতা আমাকে বাধ্য করে,
রূপের বর্ণনাকে উর্ধ্বে পাঠাতে, স্বর্গদ্বারে।
যে বার্তা সবকিছু ভেদ করে,
চলে যাবে দেবসভার অন্দরে।
অনুভব তীব্র বলেই গন্ধর্ব থেমে যাবে।
ঈর্ষায় উর্বশী স্বর্গ থেকে নেমে আসবে।
আর তখন’ই প্রেম আসে স্বর্গীয় অনুভবে।।