মাঝারী মাপের
– অযান্ত্রিক
অবিবেচক খোরপোষে রেখেছি নিজেকে, সমান্তরাল শ্রেণী,
বাজারের ব্যাগেই প্রতিনিয়ত টাকার দামের হেরফের।
হলদেটে কলারের দাগ, ক্লান্তি, যে বালিশ পেরোতে পারেনি,
সেই কলেজের দরজায় ফেলে এসেছে যে ছবি, সেটা চে’র।
বৃষ্টিতে ফুটো নাগরিক ছাতা, নিরোধক ছবিতে অবিকল,
ভিজে চুপসানো জুতো, ভেসে যাওয়া বলতে পারে নাবিকই।
ঘরে আয়নায় নিজের মুখ চিনি শুধু, বাকি সব চরিত্রই খল।
আমি মানে মাঝারি মাপের মানুষ, বেঁচে আছি জন্মাতে শিখিনি।
বাতাসের উল্টো দিকে নিবাস আফিমের বাংলা মানে ধর্ম,
ক্যাডার বলতে বড় কমে আসা আলো, কান্নার অন্য নাম ঘর্ম।
রেল ব্রীজের কিছুটা নীচেই গতি, গন্তব্যের দাম দিলেই পৌঁছানো,
আমি মানে মাঝারী মাপের মানুষ, তুমি মানে বিদ্যজনই জানো।
নির্বিবাদী শোষণে শোষিত শোণিত, ছাল বাকলে ফর্সা হওয়ার লোভ
পিছনে ফেলে সাধারন গলিঘুঁজি, মিছিল শেষ উগরে ফেলি ক্ষোভ।
হাত বাড়িয়েও ছুঁইনা কোনো কোমর, ভদ্রতা ভয়ে কাঁপেই সম্মানে,
আমি মানে মাঝারী মাপের মানুষ, বাড়ি ফেরত টিফিন বাক্সও জানে।