দুগ্ধবতী মেঘ
-সুমিত মোদক
এই নাও এক মুঠো মাটি;
এই নাও এক আঁচলা জল;
এই নাও একটু বাতাস;
এগুলো কেবল তোমার জন্য
নতুন প্রজন্মের জন্য;
আমার সারাটা জীবনের সঞ্চয় বলতে
এ মাটি, এ জল, এ বাতাস …..
একটু একটু করে সঞ্চয় করে গেছি
কেবল, তোমার জন্য
উত্তরপুরুষের জন্য;
আর আমার জন্য বাঁচিয়ে রাখলাম
তোমাকে
আমার ভবিষ্যত প্রজন্মকে;
সে বলে উঠবে… বসুধৈব কুটুম্বকমঃ
এই যে গাছটা দেখছো!
এটা আমার পূর্বপুরুষের;
কোনো পূর্বজ বসিয়ে ছিলেন;
তুমি এ গাছটাকে বাঁচিয়ে রেখো;
তা হলে দেখবে কত পাখি এসে বসছে;
লাল পাখি, নীল পাখি, হলুদ পাখি, সাদা পাখি …
কত রঙবেরঙের প্রজাপতি ….
এ তোমাকে ফুল দেবে, ফল দেবে,
দেবে বাঁচার ঔষধি;
বাতাসে কান পাতলে শুনতে পাবে
দিকে দিকে উচ্চারিত হচ্ছে —-
মধু বাতা ঋতায়তে, মধুস ক্ষরন্তি সিন্ধুব ….
এই আকাশ, এটাও তোমার জন্য;
তুমি আকাশের মতো বিশাল হয়ে ওঠো;
তোমার বুকে জন্ম নিক দুগ্ধবতী মেঘ;
বৃষ্টি ঝরুক ঝমঝম ঝমঝম করে;
ভিজে যাক, ধুয়ে মুছে যাক
সভ্যতার অন্ধকার, সভ্যতার আবর্জনা,
ধ্বংসের পদধ্বনি …
জন্ম নিক এক নতুন পৃথিবী;
তখনই জাতিশ্বর হয়ে জন্মনেব আমি;
আর্য ঋষির মতো উচ্চারণ করবো —
তমসো মা জ্যোতির্গময়
মৃত্যোমামৃত্যং গময়….
….শান্তি ওম , শান্তি ওম, শান্তি ওম …..