কবিতা

কবিতা- নিষিদ্ধ পত্রপ্রেরকের স্বীকারোক্তি

নিষিদ্ধ পত্রপ্রেরকের স্বীকারোক্তি
-সঙ্কর্ষণ

 

“একবার দেখুনই না যদি বদনাম ঘোচানো যায়।
আমি আপনাকে আপনি-আজ্ঞে করতেও রাজি।
পেছনে ছুরি বিঁধে আছে তো রক্ত মুছে নিন…
আপনি কাউকে বিঁধিয়েছেন তো খুলে নিন।

নাম দিচ্ছেন কেন? সাপ, বাঘ, গরু, ছাগল কেন?

না, মানে ওদের আত্মরক্ষার অধিকার নেই?
চরে খাওয়ার অধিকার নেই?
পাপের ভাগ ওদের, পুণ্যগুলো আপনার তাইতো?

আপনি সমতায় বিশ্বাস করেন অথচ মুকুটে
মণির মতো শোভা পাচ্ছে অসংখ্য রূপক…
অথবা তূণে ভিন্ন ভিন্ন বিষাক্ত অস্ত্র।
এই কে, কেন, কবে, কোথায়, কী জন্য এসব
আপনাকে প্রশ্ন করা নিরর্থক…
শুধু বলুন এহেন দ্ব্যর্থপূর্ণ অস্তিত্ব নিয়ে আমি
এতোগুলি শরীরী নিষ্প্রাণের ভেতর কী করছি?”

নিজেকে এসব লিখতে বসলে
বিবেক কাঁধে হাত রাখে, মৃদু চাপে জানান দেয়।
হেসে ওঠে, “নিজেকে ভগবান ভাবছো নাকি?”
নিরাশ হয়ে পড়লে বুকে প্রকৃতি জেগে ওঠে…

তাতে জীবন্ত বন আছে, নদী আছে, পাহাড় আছে…

শুধু মনুষ্যত্ব আরোপ করতে অন্য কোনো মানুষ নেই।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page