উত্তাপ
– মহুয়া সমাদ্দার
আজ সাতদিনের উত্তাপে পুড়ে যাওয়া শরীরটা ভালোবেসে ছুঁয়ে দেখেনি কেউ
জ্বরের রুচিহীন তেতো মুখে ভালোবাসার স্বাদ ছোঁয়ায়নি কেউ
আমজনতার ভীড়ে উষ্ণ নিঃশ্বাসের আঁচ পায়নি কেউ
তবুও এই রুচিহীন বিষবাষ্প বুকে মেখে বেঁচে ছিলাম আমি, একটি জীবন্ত লাশ হয়ে …
কিংবা আমার মতো আরও কতো হাজার কোটি মেয়ে..
প্রতিরাতে কুড়ি নম্বর কুঠুরিতে জ্বলে ওঠে কামনার আগুন
সেই আগুনে আমার নিস্তেজ শরীরটাকে খাবলে খাবলে খায় কিছু নোংরা যৌনাঙ্গ
কিছু দাঁত, নখ আমার শৈশবের পরম লালনে বাড়িয়ে তোলা গোপনাঙ্গ করে তোলে রক্তাক্ত..
আজ আমার উত্তাপের শেষ দিন কিংবা শেষ রাত..
কাল থেকে আর আমার অনিচ্ছুক শরীরে পারবে না থাবা বসাতে কোনও উন্মত্ত হিংস্রতা ….
জ্বরের উত্তাপ আজ সাতদিন ছাড়ালো ….
যখন সবাই মিলে একটা নিষ্পাপ পাচার হওয়া বছর পনেরোর শরীরটাকে বেশ্যা বানিয়েছে প্রতি রাতে …
চোখের নোনতা জল ছাড়া বন্ধু হয়নি আর কেউ ….
তখনই চিকিৎসা বিহীন উত্তাপে পোড়া শরীর পেয়েছে খোঁজ মৃত্যুর ….
কোনও কোনও মৃত্যু বেঁচে থাকার চেয়ে কাঙ্খিত হয় ….