কবিতা

কবিতা- আঁধার রঙের বাড়ি

আঁধার রঙের বাড়ি
-উজ্জ্বল দাস

 

কি নাম দিলো একটা পাগল হাওয়া-
তুই বললি, এ নাম টা বেশ ভালো,
যদিও আমার রং টা একটু চাপা,
অল্প হলেও কালো।।

পাগল হাওয়া নাম কি দিলো বল না?
থাক সে কথা,
ব্যাথা পাওয়ার ছল চতুরির ডালি
নাহয় যেন আমার ভাড়ার ফুটো,
এক্কে বারে খালি।।

পাগল হাওয়ার নামের দু অক্ষরে
জানিয়ে দেনা, একটু সময় করে।
ভাবতে ভাবতে পাবো আমি ঠিক খুঁজে
সইবো খানিক তোকে, দুচোখ বুজে।।

শোন তাহলে,
পাগল হাওয়া দৌড়ে এসে আমায়
দু এক কথা বললো কানে কানে।
যদিও মানে বোঝার উপায় নেই
আমায় কে আর এমন ভাবে জানে!

তখন আমি শুধাই পাগল হাওয়ায়,

পরে যখন ভোরের ফোঁটা শিশির
কানে কি তার শব্দ আসা মানা,
কেমন করে পরে চুপি চুপি-
কে রাখে এই ছোট্ট খবর খানা।
রাতের তারা ফোটে কখন জানো?
কখনই বা নিদ্রা তাদের আসে।
শিশিরে রা কি তারা’দের কথা জানে?
কখন তারা ছড়ায় ঘাসে ঘাসে?

এসব কথায় মাতাল পাগল হাওয়া।
পিছু ফিরেই নিকোটিনে এক টান-
ধাওয়া ছাড়াই রূদ্ধশ্বাস ছুট
রূপকথারা- নিমেষে দলছুট।।

~~~~~~

মাঝ রাতে রুপ কথাদের সঙ্গে হঠাৎ কথা
কেমন এ রাত, ওদের আলোয় আমি-
ব্যালকনিতে একা।

চতুর্দিকে ঝুপ করা এক আঁধার রঙের বাড়ি
কলঙ্ক যা ছিলো চাঁদে, ঠিক যেন এক নারী।
ঠিকড়ে পড়া আলোর ছটায় তুমুল অট্টহাসি
খিলখিলিয়ে কে যায় চলে, চাঁদের প্রতিবেশী।

সে এক রাতের গপ্প তোমার
নাম যে পাগল হাওয়া,
শুনলে না আর পেছন ফিরে তুমি-
রূপকথারা ক্লান্ত ভীষণ, বই গুলো ঝুল পড়া।।

পাগল হাওয়া নাম কি দিলো আমায়!!
এই টুকু আজ–
হয়নি জানা, অজানা নাম থাক।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page