মনের তৃষা…
-সত্যদেব পতি
হঠাৎ করে সকালের শরৎ হাওয়াতে হেমন্তের পরিপাটি,
তুমি বসেছিলে খোলা জানালায় বেখেয়ালে…
আমার বারান্দার রৌদ্রছায়ে টাঙানো তোতোপাখি বেসুরো গানে মত্ত,
তোমার এলো চুলে ঝরে পড়ছে হেমন্ত শিশির মুক্তোর মতো তোমার কপোলে–
বিনিদ্র নিশা অবসানে ক্লান্ত সূখপাখি…
আমার হৃদয় মন্দিরে তোমার প্রেমের হোমাগ্নী,
প্রজ্বলিত প্রদীপের আলোকে তুমি ঊজ্বল জ্যোতিষ্কের ন্যায় দীপ্তমান..
দুর হতে দেখছি তোমার সাখ্য প্রেমের যজ্ঞাহুতি আমার অনিমেষ নয়নে…
একবার তোমার রূপবহ্নি আমাকে ঝলসে দিতে চাইলো তার বহ্নিমান শিখা দিয়ে পতঙ্গের মতো,
সকালের সূর্য্য তখনও সোনা ঝরাচ্ছিল তোমার আমার আননে…
চোখ পড়তেই সলাজে পালিয়ে যেতে চাইলে,
পারোনি যেতে আমার আকর্ষনের এতটাই তীব্রতা–
কথা হলো মননে, চিন্তায়,নয়নে…
তারপর থেকে সেই যে কাছে আসা-
রইলো না কোনো সময় জ্ঞান;
অবাদ বিচরণে লিপ্ত দুজনেই উভয়ের হৃদয় প্রকোষ্ঠে,
হয়তো এরই নাম ভালোবাসা!
নাকি সময় কাটানোর সহজ উপায় মাত্র….
নয়তো এটাই নিছক মনের তৃষা?