পর মানি না
-অযান্ত্রিক
সবাই তো আর অন্য রকম ভালোবাসার শরীর নিয়ে জন্মায় না,
কেউ কেউ ছাতের ছড়ানো চালের মতো ভালোবাসা খুঁটে ,শরীর গড়ে
ও আমার নীল পাহাড়িয়া মেয়ে,ও আমার সুখ জাগানিয়া পাখি,
আমি সেই দ্বিতীয় সারিতে থাকি,।
আমার খুব ইচ্ছে করে জানো, তোমার দেশে যেতে,খুঁটে খুঁটে ক্ষুদ খেতে।
চেখে দেখতে তোমার দেশের প্রতিটা শিশুর মুখে মুক্তোর হাসি।
খুব ইচ্ছে করে,ছুটে যেতে মহুলের বনে ,যেখানে গাছে গাছে চিঠি ঝোলে,
আর হলুদ পোশাক পরা যৌবন শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদের সাথে চালায় মাধুকরি।
দূরের কোনো ক্ষণজন্মা ঝিলের থেকে ছিটকে আসে,বৃদ্ধা আপেল গাছের স্বস্তি।
সদ্য বিধবা জুঁই ফুলের ছায়া ঠোঁটে তর্জনী ঠেকিয়ে বলে এসো চুপটি করে বসো।
আমি কবি নই, শব্দ প্রচার সচিবের চাকরী আমার,তাকে কি করে বোঝাই?
বিজ্ঞ লম্বা পাইন গাছের ডালে বসা বদরি পাখির একটা পালকের জন্য,
আমি নির্দ্বিধায় নষ্ট করেছি আমার শিশুকাল,আজ যৌবনের শেষ প্রান্তে এসে।
রাগে উপরে ফেলতে ইচ্ছে মগজের রেললাইন,ভাবনার চিন্তার ট্রেন ।
আমার আশপাশের যত সদ্য কবিতার কৃষিকাজ করা কবিদের ,সুখের
শব্দ শেখাতে চাই, তোমার কাছ থেকে সুখ ধার করে।
যাতে তারা তাদের ,কোনো এক কবিতার শেষতম পংক্তিতে ,
বেড়ে ওঠে সবুজ দেবদারু গাছ, যার ছায়ায় চারটে দামাল শিশু খেলা করবে,
“অনি মানি জানি না ,তুমি আমি পর মানি না”