Site icon আলাপী মন

গল্প -একদিন স্কুল পালিয়ে…..

একদিন স্কুল পালিয়ে

-ইন্দ্রনীল মজুমদার

ছোট্ট বন্ধুরা সবাই ভালো আছে তো? আজ এখানে তোমাদের সাথে এক বন্ধুর আলাপ করিয়ে দেব। তোমরা যেমন মাঝে মধ্যে দুষ্টুমি কর, আমাদের এই বন্ধুটিও একদিন একটু দুষ্টুমি করে ফেলেছিল আর তারপর যা ঘটলো তা গল্পটা পড়লেই বুঝতে পারবে।
তোমাদের স্কুলে কত ক্লাস, কত চাপ থাকে। তাই না? মাঝে মধ্যে তোমরাও তো বোর হয়ে ওঠো, তাই তো? ও হোঃ দেখেছ, তোমাদের ওই বন্ধুটির নামই তো বলা হয়নি। তা ধরে নাও, ওর নাম পুপলু। সেবার এই পুপলুর সাথে কি হল, সেই ঘটনাটাই আমরা জানব। তা পুপলু স্কুলে ছিল, বেশ দিব্যি ছিল। হঠাৎ তার কি একটা মনে হল ঝট্ করে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে গট্গট্ করে হাঁটতো লাগল। ভাগ্যিলস তখন টিফিন পিরিয়ড চলছিল তাই টিচার ক্লাসে ছিলেন না অতএব পুপলুকে বাঁধা দেওয়ার কেউ ছিল না। স্কুলের পেছনের পাঁচিলটার কাছে গেল এবং গিয়ে তার সামনে ব্যাগটা রাখল। পাঁচিলটা খুব উঁচু ছিল না তাই সে পাঁচিলটা টপকাতে পারলো। টপকে ওপারে গিয়ে দেখল চারপাশে জঙ্গলের মতোন। দূরে একটা পোড়ো বাড়ি আছে। পুপলু বাড়িটার দিকে এগোল। বাড়িটার দরজায় ঠোকাঠুকি করল। কিন্তু কেউ দরজা খুলল না। পুপলুর মনে হল সেই বাড়ির দরজাটা যেন দরজা নয় যেন একটা পিচবোর্ড হয়ত জোরে ধাক্কা মারলেই ভেঙে যাবে। যাইহোক, সে দরজা একটু ঠেলা মারতেই সেটি একেবারে খুলে গেল। ঢুকে সে দেখলএক বিশাল ঘর যাতে অনেক রঙিন শিশি, নানা যন্ত্রপাতি, পশু ও মানুষের কঙ্কাল ইত্যাদি আরও কত কি! মনে হয় কোনোও ল্যাবরেটরি বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগাঢ়ে এসে পড়েছে। যাইহোক, পুপলুর কিন্তু বুটটা ছ্যাঁাত করে উঠল প্রথমে। অনেক সিনেমা, সিরিয়ালে সে এরকম ল্যাববরেটরি দেখেছে। সে চারপাশ দেখে নানা কথা ভাবছিল এমন সময় একটা টেকো, সাদা জামা পড়া একটা বেঁটে ও ফর্সা লোককে হঠাৎ দেখতে পেয়ে ভয় চেঁচিয়ে ওঠে, – “বাপরে! আপনি কে স্যার?” লোকটি এক বিকট হাসি হেসে বলে ওঠেন, “আমি চিত্তপ্রসাদ পাকড়াশি-সময়কে আমি পাকড়িয়ে রেখেছি। হাঃ হাঃ হাঃ।” ওই অদ্ভুত রকমের লোকটার কথাবার্তা শুনলে মনে হয় যে উনি পাগলারে টাইপের আছেন। এরপর তিনি বলেন, “এদিকে আয়।” এই বলে পেছনের একটা ঘরে নিয়ে গেলেন সেখানে একটা অদ্ভুত রকমের যন্ত্র দেখিয়ে বললেন, “এই যন্ত্রটি দেখছিস, এর নাম DLF56C1001, এটি আমি, হ্যাঁ আমিই আবিষ্কার করেছি। বুঝলি! আমিই আবিষ্কার করেছি। হিঃ হিঃ হাঃ হাঃ হাঃ।” বলে তিনি বিকট হাসি হাসলেন। এরপর খানিকটা নরম স্বরে বললেন, “তা বাবা, এতে জানিস তো আমি যেকোনো মানুষ বা জীবকে অতীত বা ভবিষ্যতে পাঠিয়ে দিতে পারি। তবে বাপু, এরজন্যেু চাই নির্দোষ কোন মানুষকে।” এই বলে তিনি হঠাৎ পুপলুর কাছে চলে এসে তার হাত দুটো ধরে লাফাতে আরম্ভ করলেন আর বলতে লাগলেন, “ইউরেকা! পেয়েছি, পেয়েছি। তুই একটা সৎ ও নির্দোষ ছেলে। তাই, আয় বরং তোকেই আগে যন্ত্রে চাপাই। বল কোথায় যেতে চাস অতীতে না ভবিষ্যতে?
পুপলু তাঁর কথা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় এবং কিছু বুঝে উঠতে না পারার আগেই বলে বসে “অতীতে”। এর অবশ্য কারণ হল পুপলুর প্রিয় বিষয় ইতিহাস যা। অতীতের কথাই বলে আর তাছাড়া অতীত নিয়ে। মানুষের কৌতূহল তো চিরন্তন। তারপর ওই বিজ্ঞানী ভদ্রলোক পুপলুকে বললেন, “আয়, চটি জোড়া পড়।” স্কুলের জুতা ছেড়ে যন্ত্রের পাশে রাখা এক অদ্ভুত রকমের চটি পায়ে দিল সে। তারপর সে যন্ত্রটার ভেতর চড়ে বসল। পুপলুর আচমকা মনে হল আরে এ তো সেই বিখ্যাত ‛টাইম মেশিন’। সে চিৎকার করে বলে উঠল, “আরে! আপনি টাইম মেশিন আবিষ্কার করেছেন কাকু। আপনাকে তো তাহলে নোবেল……”
কথাটা শেষ হল না, লোকটা বাজখাঁই গলায় বলে উঠলেন, “চোপ্, ছোকরা, চুপ করে বসে থাক্।” এরপরে, ওই ভদ্রলোক কম্পিউটারে কি সব স্যু ইচ টিপলেন এবং বললেন, “তোকে ১৯৩৮ সালে পাঠাচ্ছি, বুঝলি। সাবধান! যন্ত্রর মন্ত্রর ফুস্!” তারপর তিনি এক অদ্ভুত হাসি হাসলেন।
পুপলুর কিরকম যেন অস্বস্তি বোধ করতে লাগল এবং তার মনে হল যে এই জগৎ থেকে তার মনটা অন্য এক জগতে চলে যাচ্ছে, সে ভয় পেয়ে এট চিৎকার করে উঠল। হঠাৎ দেখল যে সে অন্য এক জগতে বা বলাবাহুল্য অন্য এক সময় চলে এসেছে। চারিদিকে বিশাল বড়ো বড়ো বাড়ি যাকে বলে অট্টালিকা তবে চারিদিকে সবুজ সমারোহে পরিপূর্ণ। পুপলুর মনে হল হয়ত পুরনো কলকাতা তার কাছে ফিরে এসেছে যেখানকার গাড়িগুলো একেবারে অন্যরকম একেবারে পুরনো দিনের মতো। এখানে ভারতীয়দের সাথে সাহেব-মেমরা নিজেদের মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশগুলো যেন অন্যরকম। পুলিশের মধ্যে যারা ভারতীয় তাদের পাগড়ী পরা আছে আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এরা ভারতীয় হয়েও বিদেশী সরকারের দাসত্বের দরুন ঐরা দেশীয় বিপ্লবীদের উপরেই অত্যাচার চালায়। তার এখন ‛দ্যে লেজেন্ড অব ভগৎ সিং’, ‛শহীদঃ ২৩শে মার্চ, ১৯৩১’, ‛ আবার আসিব ফিরে’, ‛গান্ধী মাই ফাদার’, ‛চিটাগং’, ‛বোস-দ্য১ ফরগটেন হিরো’ ইত্যােদি সিনেমার কথা মনে পড়ল। কিন্তু এটা সিনেমা নয় বরং বাস্তব। অতীত এখন তার কাছে বর্তমান। এখানকার লোকেরা জিন্সের প্যান্ট সহ আধুনিক জামা কাপড় পড়তে জানে না। তারা পুড়ে গেছে স্বদেশী যুগের জামা,ধুতি-পাঞ্জাবি ও শাড়ি। এখনকার মহিলারা অনেক উন্নত তারাও ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে পোশাকে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে তেমনি কর্মক্ষেত্রেও তাদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু এখানকার মেয়েরা কেমন যেন লাজুক কোনো একটা সংস্কার তাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ লোকেরা পুরনো দিনের স্বদেশী পোশাক পরিধান করেছে। তবে ব্যতিক্রমী হিসেবে দেখা গেল শিক্ষিত ও অভিজাত বংশের অফিস বাবুদের। তারা গায়ে কোট-প্যা ন্ট পড়ে ও মাথায় টুপি পড়ে যেন সাহেব সেজে চলেছেন। পুপলুর একটা জিনিস মনে হল যেটা তোমাদেরও মনে হয়ত হত আর তা হল এই অতীতের লোকেরা বেশ মন খোলা রেখে রাস্তায় পরিচিত লোকেদের সাথে কথা বলছে, কুশল বিনিময় করছে ইত্যাদি তবে তারা মোবাইল নামক যন্ত্রটায় মাথা নত করে দেয় নি। আসলে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল তো দূর অস্ত টেলিফোনেরই দেখা মেলা ভার। টি.ভি.-ই তো কোন দূর অস্ত। এইসব লোকেদের তথ্য পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে রয়েছে রেডিও, খবরের কাগজ ও বই। এখানে উল্লেখ্য এই যে, এই অতীতের কলকাতায় বেশ ফাঁকা ফাঁকা জায়গা আছে। আর প্রচুর গাছপালা,মাঠ, পুকুর রয়েছে। বেশিরভাগ বাড়িগুলি বিশাল এবং সবই একান্নবর্তী পরিবারে ঠাঁসা। এখানকার জেলগুলো যেখানে শ্রদ্ধেয় বিপ্লবীরা বন্দি রয়েছেন সেগুলোও নিশ্চয়ই পুরনো দিনের মতোন।
যাইহোক, পুপলু কিছুদুর হেঁটে একটা মাঠ দেখতে পেল। সেখানে সবাই সাদা পাঞ্জাবি ও ধুতি পড়ে রয়েছে আর দূরে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন লাঠিধারী এক রোগা, ছোটখাটো এক টেকো মতো লোক। লোকটা কি যেন বলছে আর সবাই চেঁচিয়ে উঠছে। লোকটার পাশে রয়েছে চরকা। পুপলু ভাবল লোকটা সমবেত দর্শককে হয়ত ‛লাঠি দিয়ে মারার’ কথা বলছে। কিন্তু পরক্ষণেই পুপলুর ভুল ভাঙল। না, ইনি আর যাই বলুন অন্তত ‛লাঠি নিয়ে মারার’ কথা বলবেন না কারণ ইনি সত্য ও অহিংসার পূজারী স্বয়ং ‛মহাত্মা গান্ধী’- আমাদের সবার প্রিয় ‛বাপু’। তা গান্ধীজী বক্তৃতা শেষ করার পর যখন মানুষের মাঝখান দিয়ে আসছিলেন তখন পুপলু উত্তেজিত হয়ে সামনে ‛জাতির জনক’-এর কাছে গিয়ে তাঁকে প্রণাম করে বলল, “নমস্কার বাপু।” তা গান্ধীজী পুপলুর মাথায় হাত রেখে শান্তভাবে ও হাসিমুখে বললেন, “সত্য ও অহিংসা কা পাথমে চালো বেটা। সত্য ও প্যাায়ার হামকো আংরেজসে মুক্তি কারেঙ্গে। ” গান্ধীদর্শনের পর পুপলু হাঁটতে হাঁটতে এক বিশাল বাড়ি বা বলা যায় অট্টালিকার সামনে এলো। পুপলু বাড়িটি চিনতে পারার সাথে সাথেই উত্তেজিতভাবে নিজের মনেই বলে উঠল, “আরে! এ যে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি!” তা সেখানে ঢুকে উঠোনে এক ধবধবধবে ফরসা, ইয়া-লম্বা ও প্রায় পেট পর্যন্ত সাদা দাঁড়িওয়ালা এক বয়স্ক ভদ্রলোক ইজি-চেয়ারে বসে আছেন। তাঁকে ঘিরে থাকা কয়েকজন ছোট-বড়ো সবার সাথেই তিনি গল্প করছেন। স্বয়ং কবিগুরুকে দেখে পুপলু মুগ্ধ হয়ে গিয়ে তাঁকে প্রণাম করল। কবিগুরুও হাসিমুখে স্নেহার্শীবাদ করলেন তাঁকে। পুপলুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “তোমার নাম কি? কোন ক্লাসে পড়?কোন স্কুলে? কোথা থেকে এসেছ?” ইত্যাদি জিজ্ঞেস করলেন। বলাবাহুল্য, স্কুলের নাম শুনে কবিগুরু হয়ত ধরতে পারেননি। পুপলুর মনে হল “এই রে! ব্যাগটা আনতেই তো ভুলে গেছি। নয়ত সেখান থেকে পাঠ্যবই ‛কথা ও কাহিনী’ বের করে অটোগ্রাফ নেওয়া যেত। স্বয়ং কবিগুরুর অটোগ্রাফ বলে কথা! কিন্তু পরক্ষনেই পুপলুর মনে হল “আরে! আমার পকেটে তো কাগজ রয়েছে, সেটা দেব কি?” আর তা সঙ্কোচের সাথে রবি ঠাকুরের কাছে তা বাড়িয়ে দিল। রবি ঠাকুর কিন্তু হাসিমুখে তাতে সই করে দিলেন। কবিগুরুকে নমস্কার জানিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এলো পুপলু।
এরপর বেশ কিছুদূর এগিয়ে পুপলু দেখল বেশ বড়ো বড়ো বাড়ি বোধহয় সরকারি কোয়ার্টার। তার সামনে বাগান, সেখানে ইংরেজ শিশুরা খেলা করছে ও তাদের বাবা-মায়েরা নিজেদের মধ্যে গল্প করছে। মেন গেটের সামনে ইয়া বড়ো গোঁফওয়ালা দারোয়ান যার হাতে আবার বন্দুক। পুপলু তাকে দেখেই ভয় পেয়ে গেল। ওখানে বোধহয় আম- ভারতীয়দের প্রবেশের অনুমতি নেই। আসলে তখন অর্থাৎ পরাধীনতার যুগে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্লাব ইত্যাদি জায়গায় কেবলমাত্র ইংরেজদের প্রবেশাধিকার ছিল, সাধারণ ভারতীয়দের সেখানে ঢোকার অনুমতি থাকত না। ওই গোরা শিশুগুলো পুপলুকে দেখে হাত নেড়ে ডাকল, “কাম, কাম হিয়ার।” কিন্তু পুপলু ভয় সেখানে আর থাকল না পাছে বন্দুকবাজ লোকটা গুলি করে বসে। সেখান থেকে অন্যান্য জায়গা দেখার জন্য হাঁটা লাগাল।
রাস্তায় অনেকেই পুপলুকে দেখে হয়ত কৌতুহলবশত নানা কুশল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় পুপলুর ঠিকানা,স্কুল ইত্যাদি শুনে কেউই কিছু বুঝতে পারছে না।
যাইহোক, কেউই কিছু না বুঝলেও, পুপলু কিন্তু এটা ভালোভাবেই বুঝতে পেরে গেছে যে সে অতীতে অর্থাৎ আশি বছর আগের পরাধীন ভারতে পৌঁছে গেছে। তার হঠাৎ পুরনো দিনের জাদুঘর, চিড়িয়াখানা দেখার ইচ্ছে হল। “সেখানে যাব কি করে?”- এটা ভাবতেই পরক্ষণেই তার ড. মেঘনাথ সাহা,আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, যদুনাথ সরকার, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ইদ্যাদি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে দেখা করার ইচ্ছে হল। তাঁদের কোথায় পাওয়া যাবে? তার আরও অনেক কিছুই দেখার ইচ্ছে জাগল?আচ্ছা, ওই দূরের মাঠে এত ভিড় কেন? পুপলু সেখানে গিয়ে দেখে সাদা পাঞ্জাবি, ধুতি ও টুপি পড়া এক দেবতুল্য ব্যক্তি বক্তৃতা দিচ্ছেন। আরে! সেই ব্যক্তিটা তো আর কেউই নন স্বয়ং ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু’। তিনি হয়ত দেশে্র স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য অভয় বাণী দিচ্ছেন। পুপলু তা শোনার জন্য সামনের দিকে এগোতে যাচ্ছে, এমন সময় পেছন থেকে “পুপলু,পুপলু” বলে কে বেশ যেন ডেকে উঠল। আর ঠিক তখনই কে বেশ যেন জোরে ঝাঁকুনি দিল যার ফলে আচমকাই তার ঘুম ভেঙে গেল। সে দেখল সামনে অনেক বন্ধু-বান্ধব আর তার পাশে আরতি ম্যাডাম জলের বোতল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ও জল ছেটাচ্ছেন। পুপলু হঠাৎ বলে উঠল, “স্কুল থেকে পালিয়ে….”। তবে তার কথা শেষ হল না, স্কুলের ঘন্টা পড়ে গেল যে!
ছোট্ট বন্ধুরা, নিশ্চয়ই এবার বুঝতে পেরেছ যে পুপলু স্বপ্ন দেখছিল।কিন্তু সেই স্বল্প সময়ের মধ্যেই সে গান্ধীজি, কবিগুরু, নেতাজীর সাক্ষাৎ লাভ করেছে বা বলাবাহুল্য, সে ইংরেজ আমলের কলকাতাই দেখে ফেলেছে, ভাবা যায়! কিন্তু হঠাৎ তার পকেটে হাত চলে গেল আর সেখানেই খুঁজে পেল একটা কাগজ যাতে রয়েছে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অটোগ্রাফ। ব্যাপারটা ভারী রহস্যময়, তাই না?

Exit mobile version