এভাবেই লেখা জন্মায়
-অমল দাস
এভাবেই লেখা হয় পংক্তি এভাবেই জন্মায় কবিতা
দুরন্ত ধু ধু মাঠ পেরিয়ে ছুটে আসে শব্দ-দ্বন্দ্ব,
বিহগার সুরে সবুজের দূরে দিক-অন্ত মিলে যায়
বৈকালিক স্নিগ্ধতায় আকাশে বাতাসে ওড়ে ছন্দ।
এভাবেই আলোড়িত যুবতীর রূপ এভাবেই প্রকৃতির মুগ্ধতা
সুদীর্ঘ বেণীর কামাতুর ঝর্ণার অপূর্ব জলপ্রপাত,
কায়ার সু-উচ্চ পর্বতে তুষারের ওড়না জড়ানো
পাদদেশ বেয়ে নিম্নে ঘন অরণ্যে গভীর মায়াবী খাদ।
এভাবেই দ্বৈত অর্থ প্রকাশ এভাবেই ভাষার বিন্যাস
কৃষ্ণ গহ্বরে সমাহিত অগণিত আলোকিত তারা,
উপেক্ষিত আগাছাই বনানীর তারুণ্যের কারণ
মেহনতে গড়া উঁইয়ের ঢিবি নির্দয়ী শ্রাবণে বাস্তুহারা।
এভাবেই জুড়ে যায় মনে মন এভাবেই বিরহিত ধারা
তুমি হীনা আঁখি পল্লবে আর্দ্র নিবৃত্ত বসন্ত লহর,
নোনা দেয়ালে শৈবাল প্রেম বৃষ্টির জলে পরাভূত
ভাঙনের চড়ে সমাধি প্রস্তরে নাম লেখে উদ্বেলিত জহর।
এভাবেই জাগে সামাজিক ঢেউ এভাবেই পতনের বেগ
স্বার্থের ঘোলা জলে নিমজ্জিত আত্মিক সহমর্মিতা,
দস্তাবেজে শিক্ষার মূল্য আঁটা কর্মে ভগ্ন মেরুদণ্ড
অবৈধ উত্তাপ ঝাণ্ডার ঝড়চাপ- নেভে নিরীহ মোমবাতিটা।