“পরজন্ম”
– সুমিতা পয়ড়্যা
জন্মালে কি মানুষ হব!
হলাম যদি; থাকবে তুমি কোনখানে?
দূরত্বটা ঘুচবে বুঝি পরের জন্মে!
সত্যি বলছ মাতলামিটা তেমনই হবে পরজন্মে!
আমি তখন নবম শ্রেণী, তুমি তখন কত হবে?
পড়বে মনে ওই জন্মান্তরের পরে!
এক আকাশে উড়ন্ত মেঘে
গাইব আমি বৃষ্টির গান,
দুই চোখেতে জলের ধারা
বুঝতে তুমি পারবে কি তা!
এক নিমেষে সব ঘোচাবে সাধ্য নিয়ে জন্ম নিও।
অনেক কষ্টের গভীর সুখে ভালো যেন বাসতে পার।
পারবে তো!
দু’জনেই মানুষ হব সাজিয়ে গুছিয়ে বলছ যে বেশ!
অসম্ভবের অহংকারে কাব্যে মেলায় দারুণ রেশ।
সত্যি বল! মানুষ হব আমি তুমি;
মিলব যখন চিনব কিসে তুমি আমার তুমি হবে।
বল না গো! বলতে এত লজ্জা কেন?
বুকে আমার ভালোবাসার বন্যা ধারা,
অনেক কথা, অনেক ভাষা,অনেক আশা
পূর্ণ হবে সে সব কিছু;পরের জন্মে অনেক বেশি
বলতে গেলে বাঁধছে বুঝি! সোজাসুজি
আমার কিন্তু থাকবে মনে
যেমন নদী পাহাড় খোঁজে।
ভুলে গিয়ে সব ঘুচিয়ে পরিপাট্য জীবন খুঁজে
হারিয়ে যেন যেও নাক চলে।
সত্যি বলছো! মনে থাকবে?
পরজন্মে চিনে নেবে?
লজ্জাটাকে চুকিয়ে দিয়ে আসবে তুমি আমার কাছে।
সত্যি বলছ? থাকবে মনে?
বল না গো; থাকবে মনে?
থাকবে মনে?
(অনুপ্রাণিত কবি আরণ্যক বসুর ‘মনে রেখো’ কবিতাটি দ্বারা- সুমিতা পয়ড়্যা)