বীজ
-অযান্ত্রিক
একেক বার মনে হয়,
এত যে স্বপ্ন হারিয়েছি, চলার দাবী মানতে গিয়ে,
সে আমার পুরনো বাপে খেদানো মায়ে তাড়ানো স্বপ্ন,
তাদের কাছে যাই।
বলি ভাই, এসো একটু বসা যাক গাছের ছায়ায়,
এসো পাশাপাশি বসি, তাহলে বেশ হয়,
তার হাত নিয়ে রাখি নিজের কড়া পরা হাতে,
সেও অনুভব করতে পারবে,
আমার শক্ত হয়ে যাওয়া আমার হাতের তালু,
যেখানে অগুনতি রেখা উপরেখার নদীপথ, কোনোটা আয়ুনদী,
যার ভিতর দিয়ে আমার নিত্য যন্ত্রণার পাল তোলা নৌকা,
টলমলে ধারায় সাঁতরে চলেছে
কোনো রেখায় চরার মতো জেগে উঠেছে, বাজারের অনেক দেনা।
কোনোটায় অফিসের ডামাডোল ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা।
যে রেখাটা আসতে আসতে হারিয়ে যাচ্ছে, যেখানে আমার উচ্ছন্যে যাওয়া
ছেলে তার ইয়ার বন্ধু দের নিয়ে রোজ ফুর্তি করছে।
হঠাৎ করে বেঁকে যাওয়া কোনো রেখায়,
আমার পরিণত যৌবনা মেয়ে রাত করে বাড়ি ফিরছে।
কোনো রেখায় আমার একলা হয়ে যাওয়া মা, সাদা শাড়ির আঁচলে,
বেঁধে রাখছে একটু একটু করে ফুরিয়ে যাওয়া শখ শৌখিনতা।
নিজের সাথে আপোষ করতে করতে খিটখিটে হয় যাওয়া আমার বউ,
আচ্ছা, তখন, ও আমার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন, তুমি কি বলবে!
এই নাও কাঁধ, রাখো মাথা, আর একটু কেঁদে নাও প্রাণ খুলে।