মুখ ঢেকে রাখি লজ্জায়
-অমল দাস
জানলার ধারে বসে যাতায়াত আমার
প্রকৃতির লাস্যময়ী মুখ,
ভাবি মহীরুহ তলে আগাছা যত
চিরদিনই কত সুখ।
সারি সারি দূর সবুজের দল
পিছে যায় সরে সরে,
ভ্রমে আমি! আদতে তারা অবিচল
আমিই চলে যাই দূরে।
নিত্য কোলাহল শুনি ধুম্র ধোঁয়ায়
শ্বাসে বাতাসে হাহাকার,
গন্ধ-ঘাম ঠাসাঠাসি মাঝে বেঁচে আছি
মুক্ত চাহিদা অন্তরে সবাকার।
চিলেদের সাথে তুলো মেঘ ভেসে আসে
জল… বাষ্পের সন্ধানে,
বৃষ্টি আমাকে ছোঁয়নি, ছুঁয়েছে এক শিশু
কাঁদো গাল অশ্রু-অঞ্জনে।
কত অভাব শত অভিযোগ লেখা
অন্তঃ আঁধারিত পাতায়,
সৌরালোর খামতি নেই বাইরের কোনাংশে
পৌঁছায়নি রুষ্ট জীবন খাতায়।
জ্ঞাত অজ্ঞাত অবয়বের যত মূর্তি
খোলস তলে কঠিন-দুর্বোধ্য
আত্মিক উপভোগ মিলেমিশে যান্ত্রিক গোলযোগে
নিংড়ে মনন অ-সাহিত্যের গদ্য।
গহনা কংক্রিটের ঢাকা মেঠো পথ, চিরন্তন
শুয়ে আজও একই শয্যায়!
বদলে যায় আবহ, বদলায়নি আমার আমি
মুখ ঢেকে রাখি লজ্জায়।