হঠাৎ খুশী
– শিলাবৃষ্টি
নগর কলকাতায় জন্ম রিনির, গ্রামবাংলার কিছুই দেখেনি সে। শম্পার জেদেই- তার মামারবাড়ীর দুর্গপূজো দেখতে বেরিয়ে পড়ল ছুটিতে।
একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। নাম সুবর্ণা। যেন তুলি দিয়ে আঁকা সে গ্রাম। নদীর ধার দিয়ে হেঁটে চলেছে বিকেলে রিনি, দু’পাশে সাদা ধবধবে কাশফুল, নীল আকাশে সাদা মেঘেদের আল্পনা। নদীর দুইধারে ছোট ছোট গ্রাম। প্রতিটা বাড়িতে শিউলির ঝরে পড়া যেন আগমনী গান। বেশ কয়েকটা পুকুরে পদ্ম শালুক জল থেকে মাথা তুলে যেন বলছে – আমি ফুটে গেছি। মাটির বাড়ীগুলোর দেওয়ালে সুন্দর আল্পনা! রিনি ভাবে কবিরা এইসব দেখেই বুঝি কবিতা গুলো লেখে। তার মনেও ছন্দ খেলে —
আজকে বুঝি জীবনতরণীতে-
হঠাৎ খুশী ঘনিয়ে আসে চিতে।
ভালো লাগে তার এই গ্রামবাংলার নানান জীবন্ত ছবি। আর ভালো লেগে যায় একজনকে … যে আনমনে বাঁশী বাজায় বিকেলের অস্ত আলোয় নদীর ধারে বসে। সে সুর যেন সমস্ত আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে যায়, আর রিনির সারা মন নাড়া দিয়ে যায় সে সুরের বিস্তার।