মৌসুমী কেঁদে গেলো
-অমল দাস
মৌসুমী কেঁদে গেলো…
কলার পাতায় শব্দ ঝরে টুপটাপ…
আশিসের ঘাস, ডুবে আছে চুপচাপ…
মৌসুমী কেঁদে গেলো…
অনেকটা পক্ষ পরে শুভ গোধূলি দিনে
হলুদ গায়ে জল পড়েছিল আষাঢ়ের শেষ লগ্নে।
রাশি, গ্রহ, ফল, বেঁধে নৈঋত পথে এসেছিলে আমাদের প্রান্তে
উল্লাসের আবহে কেটে গেল কিছুদিন।
যতটা আশা, কর্মশৈলী বর্ণিত ছিল তার প্রারম্ভিক কুণ্ডলীতে
ক্রমান্বয়ে সে মোহের আঁধারে এসে পড়ে রুক্ষ আলো।
শুরু হয় কানাঘুষো, টিটকিরি, তাচ্ছিল্যের মশকরা!
অবজ্ঞায়, উৎকণ্ঠায়, অসহায় মৌসুমী কেঁদে ছিল অল্প।
শ্রাবণ যায়, ভাদু যায়, আরও দিন যায় কতেক, পুজোও যায়
অবকাশ অবশেষে, অফিস আদালত খুলে যায় সব!
আমাদের তরফ থেকে বিচ্ছেদের নোটিস দিয়েছিল আবহ-আদালত!
মৌসুমী বিদায়ে কেঁদে গেলো শেষে…
বিচ্ছেদ বিরহে, না অবহেলার ক্ষোভে, বোঝা গেলো না!
মনে যন্ত্রণার আর্তনাদ নিয়ে আসা পথেই ফিরে যায়!
মৌসুমী কেঁদে গেলো শেষে…