এই তো সময় নটরাজ নৃত্যের
– অতীশ দীপঙ্কর
যত অনাসৃষ্টি বিষ্ণুর মতো পালন করতে থাকলে
যতই সদাশিব ভাবো সব ধ্বংস করবো।
সৃজন পালনের জগৎ সংসারে
আমি রুদ্র অনার্য শ্রেণী সংগ্রামে নিবিড় রবো।
ছাইভস্ম মেখে মলিন বসনে আমি কৌলিন্যহীন
তবুও বঞ্চনায় আমি বজ্রগর্ভ রুষ্ট,
যৎকিঞ্চিৎ যদি সকলে মিলে খাই আমি তুষ্ট।
ভালোবাসার প্রতিদানে বৃত্ত ও বাণ অসুর হলেই
প্রতিফলনে দেবেই প্রাণ।
আমি ভিক্ষুক হতেও রাজি মানুষের সাথে,
মোহমুক্ত হয়ে সুখে থাকি তবুও একা নই কালে।
যে বিষ আমি অগ্রনীতে ধারণ করে
নীলকণ্ঠ হয়ে আছি,
এতো অসুর যখন দিকেদিকে
তখন নিশ্চই আমি ত্রিপুরারি,
অনেক আছে এই ভুতনাথের শূলপাণী।
পিনাক সাজাও ভুতেশ আমি আছে পশুপাত—
ঐ প্রলয় বিশান বাজায় চারিদিকে বঞ্চিত একনাথ।
মঙ্গলময় পৃথিবীতে নতুন সৃষ্টি হবে সর্বত্যাগী —
সন্যাসীরা ঐ দেখো মানুষের হৃদয়পর্বতে কঠোর ব্রতচারী,
নটরাজ তখনই আশুতোষ হবে-
দক্ষের দেশব্যাপী ভয়ানক যজ্ঞ লন্ডভন্ড করে
মানুষ যখন পাবে মুক্তি।
একান্ন পীঠের দেশ একান্ন পীঠের পূর্ণতায়
শূন্যতা ভরে কোটি নগ্ন পায়ে নপুর পরে
সতীরা তাদের মহাজগৎ নিয়ে একটি দেশ হবে।।