ওগো মেয়ে
-পারমিতা চ্যাটার্জী
কে তুমি একলা দাঁড়িয়ে —
নদীর পাড়ে – ওগো মেয়ে?
উড়ছে তোমার আঁচল খানি
হেমন্তে এই হিমেল হাওয়ায়–
এলোমেলো চুলে মুখ ঢেকে যায়-
কবির কলম নড়ে ওঠে তোমায় দেখে–
মনের কোণে শিল্পী আঁকেন তুলির টানে
তোমার ছবি খানি–
তুমি কি তা জানো ওগো মেয়ে?
জানিনা কি অভিমান আছে জমে
তোমার বুকের ছায়ার মাঝে–
নদীর তীরে তাই কি আজ একলা নির্জনে
এসেছ শুনতে লুকিয়ে রাখা গোপন কথা
নিজের কাছে নিজেই।
উত্তর কিছু পেলে বলে যেও তা নদীর কাছে-
ঘাটে বাঁধা নৌকা তে ওই
চাপিয়ে দিও দুঃখের বোঝা–
পা রাখ কাল নতুন ভোরের শিশির ভেজা ঘাসে।
হেমন্তের খুশীর হাওয়ায় দাওনা মনটা উড়িয়ে
যাক্ উড়ে যাক জীবন মাঝে জমে থাকা আবর্জনা।
কান্নাটাকে লুকিয়ে রেখে হাঁটো জীবন পথে
দুঃখ তোমার সাথের সাথি — সুখও কিন্তু লুকিয়ে আছে অগোচরে তোমার মনের সাথে–
খুঁজবে না কি তাকে? হৃদয় মাঝে লুকিয়ে থাকা
নতুন বেদনাকে?
বেদনার সাথে মিশে থাকে বন্ধু হয়ে সুখের তারা–
তারই হাতটা ধরে আজ দাঁড়াও নদীর পাড়ে–
নদী বলবে তোমায়-‘ দুঃখ তোর নিয়েছি আমি বয়ে যাবে শেষ মোহনাতে– ওগো মেয়ে থাকিস না আর একলা দাঁড়িয়ে,
নামছে এবার রাতের আঁধার কালো–
পথ চিনতে ভুল করবি আঁধার রাতে — কালো তোকে দেখাবে না রে সকালবেলার আলো।