কবিতা

কবিতা- তাজমহল

তাজমহল

-কাজল দাস 

 

 

শাহী উত্তেজনার ক্ষমা নেই।
‘বীর দর্পে স্থির’ দন্ডায়মান দ্বারে, প্রতি রাতে-
উপেক্ষিত একজোড়া শীৎকারের অপেক্ষায়।
বিছানা বেয়ে গড়িয়ে নামে বেগমের নিষ্কাম উত্তাপ।
নড়ে ওঠে নগ্ন জঠরস্থ বেগম, গৌহব।
মহব্বত! তবুও যুদ্ধ করে মরে জাহানারা প্রতি রাতে।
তারপর একদিন রক্তাক্ত মৃতাশৌচে-
পরে থাকবে তার বীজ প্রবাহ।

সে হয়তো জানে না,একদিন পাথরে খোদাই হবে তার নাম।
তার সমাধিতে থাকবে ইরানি গোলাপের ইশতেহার।
শিল্পীর নিখুঁত হাতে সৃষ্টি হবে তার চৌকস শরীর,
চওড়া নিতম্ব, উদ্ধত স্তন, নিটোল দেহের ভাঁজ।
সূর্যের আলোয় ঝলসে উঠবে বিশাল প্রাচুর্য,
দল বেঁধে দেখতে আসবে অগণিত চোখ।
জিভ দিয়ে চেটে নেবে রক্ত, কবরস্থ লালা-
তারপর যতদূর আঙুল যায়, নিংড়ে নেবে ঘ্রাণ।
আগামীর পেক্ষাপটে লেখা হবে রাজকীয় প্রেম-

খুঁজবে না কেউ তার নিঃসংশ কাতরতার রাত,
শুনবে না কেউ তার কোণঠাসা চিৎকার, আর-
বিছানায় লেপ্টে থাকা নীরব প্রতিবাদ।
পৃথিবীর আশ্চর্য ভাস্কর্যে চাপা পড়ে থাকবে-
নির্মম নির্যাতনের অব্যক্ত মোঘলিক অধ্যায়।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page