সৈকত সন্ধানে
-অমল দাস
ছয় মূর্তির অচর্চিত ইতিহাস,
নিদ্রিত রাত্রির তিন প্রহরের প্রথম লগ্নে
নিরাকার চাদর ভেদ করে পথের উপর।
কোন সৈকতে সমুদ্র ফেনায় শোধিত হবে আপাদমস্তক উল্লাস।
চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা রাজপথ-
ক্লান্তির পক্ষাঘাত সয়ে পড়ে আছে নির্বিকার।
মাঝে মাঝে নিশাচর চারচাকাগুলি
স্তব্ধ হয়ে থাকা শিরার মধ্যে হঠাৎ রক্ত স্রোতের উদ্দীপনার মত
ডাক দিয়ে যায় তীব্র বেগে।
অনুভবে যন্ত্রণা, বাস্তবে! যন্ত্রের মত ভাবাবেগ।
আমরা আর বিগত ইতিহাস উন্মোচনে আগ্রহ দেখাইনা!
গভীর অন্বেষণে নেমে পড়ি নৈসর্গিক আলো আঁধারি রূপে।
আপাত নিস্তব্ধ সারিসারি সবুজের কালো দল-
এভাবেই জীবনদায়ী প্রবাহ ছড়িয়ে চলেছে যুগান্তর।
আঁধারের করুণাঙ্কিত চোখে নত মস্তকে নির্বিবাদ-
এখানে সেখানে পাহারারত গৃহহীন সারমেয়রা।
তখন পথের ধারে পথিক সেবায় উনুন জ্বলে ওঠে
কোন এক গ্রাম্য ঘরের বিনিদ্রিত হাতে!
এ দৃশ্যে ভারতের ক্লান্তি নেই, নিদ্রা নেই, দ্বেষ নেই, নেই ভেদাভেদ,
কেবল বর্ণহীন কতগুলি মানুষ উষ্ণ আমেজে মুখোমুখি!
এক অচেনা পাখি শান্তির প্রশস্তি ডাকে উড়ে গেলে পশ্চিম কোণে
আমরা এগিয়ে চলি ভয়-বাঁধাহীন সমুদ্র সৈকতের সন্ধানে।
বাহঃ খুব ভালো লাগলো
ধন্যবাদ দিদি