কবিতা

কবিতা- জীবিতের নামাবলী

জীবিতের নামাবলী

-অমল দাস

 

পৃথিবীর অ্যালবেডোর পরে, যেটুকু আলো আমাদের জন্য বরাদ্দ

আমার অপূর্ণতার দায়ভারের জনম কুন্ডলী কাঁধে নিয়ে

সকালের সেই রোদের সিংহভাগ,  

              কাঁচের জানলায় বিপরীত প্রতিফলনে ফিরে যায়!

ল্যাদ খাওয়া শরীরে আড়মোড়া ভাঙা খাটের তাচ্ছিল্যের খিটখিট হাসি

সম্মুখের দেয়ালে ঝুলে থাকা আরশিতে চেনা মুখের

                        এক অচেনা প্রতিবিম্ব জেগে ওঠে!  

তখন মৃদু দোলায় টালির চালে বাঁশের আড়ায় ঝুলে থাকে

                                    কালিমাখা বিরহ!

এ জগতের সমস্ত উদাসীনতার ধূলি

                 আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আমার অসহায় দেহে!  

এভাবেই রোজ স্মৃতির গামছা কাঁধে ফেলে বাইরে বেরিয়ে আসি

                                  স্নিগ্ধ হাওয়ার আশায়

যন্ত্রণার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অণু কণা ফিল্টার করে স্বচ্ছ শ্বসন আর হয়না

দায়িত্ব আর কর্তব্যের মিশ্র রসায়নে অস্তমিত বেলায়

        উদ্বায়ী পদার্থ হয়ে অমীমাংসিত রয়ে যায় বাষ্পীয় রজনী 

 

রোজনামচার এই নিত্য কলহের ভিড়ে মিথ্যে সুখের সন্ধান করি  

আসলে এ জগতে সুখ মৃত্যুর’পারে,

              জীবিতের নামাবলীতে অসুখের উপর অসুখ।

Loading

4 Comments

Leave A Comment

You cannot copy content of this page