এ’পার থেকে ব’লছি
-সঙ্কর্ষণ
কেউ লেখা না প’ড়লে ছবি জোড়া হ’য়ে যায়।
ছেলেমেয়েগুলো বড়ো তুখোড় হ’য়ে গেছে…
রাস্তা জুড়ে ন’ড়ছে-চ’ড়ছে ওদের ভবিষ্যতের ছবি
দীর্ঘ কবিতাটিকে কখনোই পড়ানো হ’লোনা।
যাকে তুমি বর্তমান বলো তেমন সময়ে
নিষ্প্রভ চোখদুটি বুজে দেখি ঘাটে ব’সে আছি।
কাজ থেকে তার বাবা ফেরেনি কখনো, প্রেমিকার
চোখে জল, মুঠো করা হাত… ভেঙে ফিরে আসি।
সুকঠিন দৃষ্টিকে তোমাদের মাঝখানে ছুঁড়ে দেবো ব’লে
যে ছবি মুছেছি এঁকে, শেষে কী লিখেছি…
জাগতিক রঙ-তুলি দূরে রেখে দিয়ে
রক্তের সন্ধানে খুঁজে খুঁজে জমিয়েছি মাঠেরই সবুজ।
যা কিছু দেখার কথা, আমার প্রেমিকাটিকে
কেড়ে নিয়েছিলো, ছবি রেখে গেছে।
কৈশোরে কাহিনীতে তোমাদের পা’ই পড়েনি তো,
আমারও বলার ছিলো, দরকারী কথা…
কাঁচঘরে চশমা বা জামা আর ধুতি… এসবের
টান ছেড়ে জংধরা অস্ত্রটা কী দেখছো বলো,
এখনও এলোনা বলো তেমন একজন
সে অন্ততঃ একবার শুনবে, তাকাবে, বুঝবে।
ছোটো এক ভোঁতা মুখ আমার নীরবতাকে
দেওয়ালে টাঙিয়ে শরীরের ওপারে চ’লে গেলো,
এই বিস্মিত বিস্মৃতি…