প্রতিকার
– রীণা চ্যাটার্জী
হঠাৎই সুতীব্র এক চিৎকার শুনলাম
ছন্দপতন হলো বুঝি সুখের বিশ্রাম!
চমকে উঠি! উদ্বেগেতে তাকাই অলি গলি
ডাক দিয়েছে অজান্তেই মনের চোরাবালি।
নীরব চীৎকারে সে বেবাক, রোরুদ্যমান
অসহ্য তার কাছে আজ সকল প্রশ্নবাণ,
কারণ জেনেও শুধাই তাকে, তবু মৃদু স্বরে
প্রশ্নে তার বেদনার অবিরাম রক্ত অশ্রু ঝরে।
‘দিনে রাতে নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হয়ে থাকি
কিসের আড়াল দিয়ে বিবেক ঢেকে রাখি?
অজুহাতে বলে যাও দোষ সব কলিকালের;
মিথ্যা বলো, ছিল সবই সত্য ত্রেতা দ্বাপরে
বর্বরতা, নিষ্ঠুরতার শেষ কি কোথাও নেই!
কতো আরো কতো বলো?’ প্রশ্ন রাখে সেই।
‘ললাট লিপি ভিন্ন কেন নারীর নামে হবে?
সতীত্বের দায়! অগ্নিপরীক্ষা নারীই কেন দেবে?
জন্ম নিলো যে আধারে পূর্ণ মানব সমাজ!
পাপে, দোষে ভরে দিতে পায় না কোনো লাজ!
সম্পদ নয়, সম্পত্তি ভেবে করেই যায় ভুল
প্রাপ্তিতে নেই হৃদয়ের শ্রদ্ধা, ভালোবাসার ফুল।
জননী, জায়া, কন্যা সব স্বার্থ, যেন সম্পর্কের ধূল
অস্বীকারের স্পর্ধায় থাকবে তো সবার বংশ, কুল?’
অবিচারে, অভিযোগে, ক্লান্তিতে নিরুচ্চার
রুধির তপ্ত অশ্রু ক্ষরণে চাহিদায় ‘প্রতিকার’।
অনবদ্য প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিলেন লেখনীর মাধ্যমে, এক কথায় অসাধারণ
বাহ, দারুন হয়েছে, অত্যন্ত বাস্তব সন্মত এবং প্রাসঙ্গিক
ধন্যবাদ দিদি
উত্তর নেই আজো.. ধন্যবাদ বন্ধু