সময় সরণি
– অতীশ দীপঙ্কর
সপ্তপদী সিঁদুরে শরীরে তোমার
দেখেছিলাম এক লহমা কম্পন,
হঠাৎ আমার নির্ঘুম চোখ ছড়ালো ঘুমে,
শোলার শীরস্ত্রণ নিমেষে জড়ালো দুই মন।
ফুলশয্যার প্রতীক্ষা রাতে তুমি দিলে
প্রিয়তমা তোমার স্তনবক্ষ খুলে,
রাত প্রহরের প্রতিটি অক্ষতে অক্ষতে অক্ষরে,
শুক্তি ওষ্ঠে রেখেছিলে আমারে।
ওগো নবপরিনীতা!
এখনো আছে সেই কথা গহীন বিতানে,
তব আরষ্ঠে মুক্ত ছিলো অধরোষ্ঠ,
আমার উন্মুখতা তব উন্মুক্ত শরীরে,
আধমেলা চোখে সজল লাজে পরিনীতা তুমি মুগ্ধ।
তোমার পীনন্নত স্তনগ্রন্থি জুড়ে দিলাম দুগ্ধ
প্রিয়,দিয়েছো আমারে শান্তিরামৃত ফুটফুটে দুই পুত্র
তালতাল লহুপিন্ড ব্যবচ্ছেদে ক্লিষ্ঠ হাসিমুখে।
ওগো অর্ধাঙ্গীনি !
পুঞ্জিত তোমার অতনু রুদ্রে
ক্লান্তির সকাল দিয়েছিলাম ঢেলে।
তোমার স্বর্গীয় তাড়না ছিলো বড্ডো নিশ্চুপ!
নিরব নদী বক্ষে কামাসিক্ত সাঁতার দিয়েছি খুব।
সময়ের মুখবেয়ে আমি এখনো সিদ্ধ!
কালক্ষেপ সময় এসে আমাকে করে বিদ্ধ,
এখনো যখন নিরবে কাটাই কাল রাত্রি,
তোমাকেই ভাবি।
প্রেম এখনো যতটা তীব্র তোমার আমার
হারানো পথে পড়ে আছে কিছু তার।
সময় যে বড়ই সত্য তোমার মতো,
অনেকটাই মিথ্যে মনে হলেও দুটি মন আর পৃথিবী সত্য,
দুই ভালো মনের একসাথে থাকাটাই ব্রত।