আজব ‘আই কিউ’!
-অমল দাস
ফুরফুরে সকাল, হালকা শীতের আমেজ। পিঠে রোদের আরাম নিয়ে বন্ধুদের বিশ্বজোড়া গল্প। সিদ্ধান্ত থাকুক বা নাই থাকুক, সমাজে অভিযোগ কিন্তু ভুরিভুরি। এমন সময় পশ্চিমী হাওয়ার বেগে একবন্ধুর বাইক এসে থামল। তেলের ট্যাঙ্কিতে ভুঁড়িটা রেখে সমবেতদের কাছে নিবেদন রাখে ‘কেউ একটা বিড়ি দে’। এরা সকলেই বিড়িতুতো ফ্রেন্ড। তৃপ্তির সুখটানে ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকাতে পাকাতে বলল– বুঝলি ভাই, সেই মেয়েটাকে আজ দেখলাম।
যাকে লক্ষ্য করে বলা, সে হয়তো মনে মনে ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলো। নিরুপায়হীন হয়ে শেষে- কোন মেয়েটা রে…?
-মনে নেই কয়েকবারই তো গল্প দিয়েছিলাম।
-মনে থাকার কি কথা? চারিদিকে এতো জ্ঞান তাত্ত্বিকের নতুন নতুন বাণীর সাথে এতো পুরনো অনুৎপাদক কথা কেই বা মনে রাখে, রে…।
-আরে.. যাকে প্রপোজ করেছিলাম একসময়, সেই মালটা। বলেছিলাম মনে নেই?
বন্ধুটির ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের সুর– লে… বিয়ে করেছিস বাছা দশ বছর পার হয়ে গেল, এখনো মালে নজর? তা এককালে সে বস্তুটা তো মেয়ে ছিল! প্রপোজাল ফেলে দেওয়ার পর সেটা মাল হয়ে গেলো?
-ওই আর কি! কথা ধরিস না বা*!
– তা তোকে দেখলো? এখন কেমন লাগছে?
– আর বলিস না! পুরো মাগি একাটা।
– মানে?
– আরে বিয়ে হয়নি এখনো, মাগি বলব না তো কি বলবো!
– এটা কি কথা ভাই..? ছোট বেলায় মেয়েটা ভালো ছিল, তাই প্রপোজাল দিলি। সে না বলার পর মাল হলো। কোন কারণে দেখে মনে হল বিয়ে হয়নি, তাই সে মাগি? তা রাস্তায় অনেক বিবাহিত মহিলাকেই আজকাল বিয়ে হয়েছে বলে মনে হয় না। তাই বলে সবাই…! লাজবাব তোর ‘আই কিউ’ ভাই!
– ওই হল আরা কি….
– না! এটা হলো না…
‘আঙুর ফল টক’ এটাই তো আসল কথা। স্বভাব যাবে কোথায়? তবে শেষে প্রতিবাদটুকু অন্তত ভালো লাগলো
প্রতিবাদের ভাষাটা সর্ব স্তরেই ওঠা দরকার, বন্ধু বলে, যে বিষয়টা মেনে নেওয়া , তা কিন্তু না করেই, যেটা ভুল সেটা ভুলই দেখিয়ে দিতে পেরেছে।