দোষী
-সঙ্কর্ষণ
যাকে বলো পাদপ্রদীপ আর যাকে তুমি বলো আলো
অন্তর থেকে দুর্বার বেগে বিদ্যুৎ চমকালো…
উঠেছে যেটুকু ঝড়, হারে চেঁচিয়ে ব’লেছো “ধিক”
কখনো ভাবোনি তোমারই চিন্তা ভুল ওরা সবই ঠিক।
গর্জায় কালো মেঘ আর বিজয়ীর চেরে বুক
বিবেকের ডাকে উত্তাল হাওয়া খুলে দিলো ক্ষতমুখ।
আগুনের চোখে জল, জ্ব’লেপুড়ে যায় মাঠে ঘাস
অস্ত্রের সার রক্তের বীজে পৃথিবীর দেহ চাষ…
যুদ্ধের অবশেষ, রাজারাজড়ার হাহা রব
এই দুঃখ আর মৃত্যু নিশ্চিহ্ন বাকি সব।
পুরুষের মৃতদেহ, তাই নারীটির বাড়ি চিতা
অশ্রু মোছাতে কারা লিখেছিলো যেন মনুসংহিতা…
সবারই হিসেবে ভুল আর তোমারও গোনা বেঠিক
তোমাকে দুষেছে তাকিয়ে দেখো হে যেদিকে চা’বে সেদিক।
তুমি নাকি নারায়ণ আর আমি তো নেহাতই নর
ক্ষমা ক’রে দেবে নিজগুণে জানি বিঁধেছি পায়েতে শর…
লীলাসম্বরে ঈশ্বর সেই তুমিও হ’লে বেঘর।