নিকুচি করেছে কবিতা – এক
-বিকাশ দাস
যে পেটের ছেলে
মায়ের দুঃখজ্বালা বোঝে না
গোবর ঘুঁটের গায়ে মায়ের হাতের ছাপ
লোকের কাছে বলতে লজ্জা করে
পরের উচ্ছিষ্ট বাসন মেজে মায়ের দু’হাত
দু’মুঠো ভাত সংসারের ক্ষুধা ভরে ;
সে ছেলে মুখ ফিরিয়ে
মায়ের সঠিক ব্যাখ্যা সবিস্তারে ফলাও করে কবিতা লেখে
শব্দ কুচির গর্ভে মায়ের কষ্টজ্বালার আঁচড়ের স্তবক ঢেকে ।
বা! কবিতা ।
যে ছেলে বুড়ো বাপের ঘাড়ে বসে অন্ন ধ্বংস করে
বাপকে ঊনতা দেখায়
বংশের অভাব অনটনের অকিঞ্চনতার প্রদর্শন ধরে
রংবাহারি কবিতা লেখায় ।
সে ছেলে বাহুতে পৌরুষ দেখিয়ে
বাপের সম্বল আধকাঠা জমির উপর পৈতৃক ভিটেমাটি
উপড়ে ফলিতার্থ নির্মাণ চায়
প্রচুর আমদানি চোলাই মদের ভাটির ঘাঁটি ।
সে ছেলে বাপমায়ের রক্তঅশ্রুজমাট শিলায়
ইস্তাহার দিয়ে উদ্ভিদ উচ্ছেদের কবিতা লেখে ।
শব্দের শিড়দাঁড়ায় উঁচিয়ে গলা অধিকার দাবি
আমি প্রসবসূত্রে প্রথম উত্তরাধিকারী
হাতকাটা বাপের শরীর থেকে শ্বাস নিবর্তন হলে
একবাক্যে বলতে পারে
বাপের মৃত্যু
বাপের মুখাগ্নি চুলোয় যাক ।
কবিতার বীজমন্ত্র ফলমন্ত আধকাঠা মাটি
বেঁচে থাক বাপমায়ের দান নিকুচি করেছে কবিতা ।
***