নবান্ন
– অতীশ দীপঙ্কর
হেমন্তের আতব নবান্ন ঘ্রাণে
কলমী লতার লাগল সুখী দোল,
মৃদু কুয়াশায় চাদর বেছানো আছে
তবুও সোনালি হাসি পায় না কোল।
কৃত্তিকা আদ্রার ঝলমল আকাশে
আমন ধান,নৈবেদ্যের গন্ধ ভরা,
কাকেদের তৃপ্ত বাসনায় শুনি
নবান্ন পায় হাড়ভাঙ্গা মৃত-আত্মা।
সোনালি ধানের সৌরভ উঠনে বাঁধা
সরষের ক্ষেতে ক্ষেতে সবুজ মেতে,
নীল আকাশের বুকে উড়ে যাচ্ছে
বালিহাঁস ঝাঁকবেঁধে কুসুম রোদে।
চড়ুই বাবুই শ্যামাপোকা বুলবুল
মই দিয়েছে ধানে,তবু নতুন চালে
নবান্ন আজ, বালির বাঁধ ভেঙে
রক্ত জল মিশবে নবান্ন উৎসবে।
মাঠের ঘাসে ফসলের গন্ধ নিয়ে
মানুষের ঘর,আলপথে থানকুনি
শাক তোলা মেয়ের রোদের দুপুরে
সবুজ সর্ষের ক্ষেত চেয়ে দেখি।
ঘাম লাগা ধান এখনো ঝরে আছে
নতুন ফসল বুকে নির্জন আমোদ,
বুলবুলি যে ধান খুঁটে খেয়ে নাচে সেই
আকাঙ্ক্ষার আকাশে আশঙ্কার পারদ।