রাজ-প্রাসাদ
-সীমা চক্রবর্তী
এই তো সেই তোমার সাধের রাজপ্রাসাদ
জ্যোৎস্না রাতে যার ছাদে আসতো নেমে চাঁদ।
রেশমি ঐ পর্দা গুলো উঠতো হাওয়ায় দুলে
যখন তুমি সিংহ-দুয়ার হটাৎ দিতে খুলে।
হাজার আলোর ঝাড়বাতিটা উঠতো যখন জ্বলে
সূর্যও যেন লজ্জা পেয়ে অস্তে যেতো ঢলে।
শৌর্যে – বীর্যে যেথায় তুমি দম্ভে করতে রাজ
শ্মশানের হু-হু বাতাস, খেলছে সেথায় আজ।
ঠুংরি তালে, পায়ের বোলে হতে তুমি পাগল
রঙিন কাচের পেয়ালা সুধায়, চলতো কোলাহল।
সেই মদিরা নেশাই অজান্তে করলো তোমায় গ্রাস
বুঝলে নাতো জীবনে কখন নামলো সর্বনাশ।
যেমন ছিল তেমন সবই, শুধু নেই যে আজ তুমি
ঘুমিয়ে আছো সমাধি তলে, রাজাসন ছেড়ে ভূমি।
আজ পর্দাগুলো ছিঁড়ে গেছে, নিভেছে ঝাড়বাতি
দিনের আলো দেয়না উঁকি, গুমরে কাঁদে রাতি।
যেই প্রাসাদে ভালোবাসা বিকতো সোনার দামে
চাপা যন্ত্রণার শ্যাওলা আজ সেই প্রাসাদ থামে।