কবিতা

কবিতা- চেয়ে দেখো

চেয়ে দেখো
-অযান্ত্রিক

 


আমার প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে তুমি বললে ভালো আছি,
অথচ,তুমি মিথ্যে বলতে শিখলে না তো কোনো দিনই।
ভালো আছি বললে কিন্তু তোমার সবুজ শিফন শাড়ির আঁচল থেকে ,
ভেসে আসছে ভেঙে পরার শব্দ, কোথাও যেনো নামছে ধ্বস।
তোমার উজ্জ্বল কালো কাজলের আঁধারের মাঝে দেখা যাচ্ছে ,
বিনিদ্র রাত, একলা ছাদে পায়চারী, সুঠাম বিছানার চাদরের অতৃপ্তি।
নিলোফার, তুমি ভালো আছো মিছে আয়নায়,
বাস্তবে ভালো নেই।
তোমার গোলাপি ঠোঁটে ধরে রেখেছো যে বাসন্তিক হাসি,
তার নীচে উঁকি দিচ্ছে বিমর্ষ গ্রীষ্ম।
তোমার কপালের উপর আশ্রয় করেছে যে বলিরেখা,
তার প্রতিটা খাঁজে অকাল সন্ধ্যার অস্তরাগ, না না বয়সের নয়।
ক্লান্তির!,অবসাদের,
যার কোনোটার নাম ব্যাস্ত স্বামী, বড় হয়ে যাওয়া সন্তান।
তোমার চুলে হালকা হয়ে আসা কলপের বাদামী রং,
আসলে বিবেকের জং, মরচে পরা বিরহ নিঃশ্বাস।
তোমার কথায় যে উচ্ছলতা গোলাপ ফুঁটছে, তাও,
যেনো ঢেকে ফেলতে চাইছে একাকিত্বের কান্না।
দীর্ঘশ্বাসের কুয়াশা।
ধীরে ধীরে ছেড়ে যাওয়া ভালো থাকা গুলো ,
দায়িত্বের কার্ফুতারিত মুখোশের আড়ালে সামলাচ্ছে ধুলিঝড়।
নিলোফার তুমি ভালো আছো বলছো ,কিন্তু ভালো নেই,
চেয়ে দেখো।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page