কিভাবে ফিরিয়ে দেবো আজ
– দীপ্তিমান ভাণ্ডারী
শীত এলে বড় একাকীত্বতা
পেয়ে বসে আমাকে।
শেষ বিকালের একটা
মন কেমন করা আলো
সোনালী ধানের উপর
বিছিয়ে দেয় তার আলতো পরশ।
শিরশিরে হাওয়ায় ভেসে আসে
ভাটিয়ালী সূর – কুয়াশায় মাখামাখি।
মাঝি মল্লার নৌকার ঘর
জলে ভেসে যায় সন্ধ্যা তারাটির দিকে,
যেখানে বসে আছে তার সঙ্গীনী
অপেক্ষার প্রহর গুনে।
ধেনো মদ খেয়ে আাজ ওরা
সন্ধ্যার চাঁদ মেখে শুয়ে থাকবে
ভীষণ জড়াজড়ি করে
উঠানের মাঝখানে,
যেভাবে জ্যোৎস্নায় কুয়াশায়
মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
শীত এলে মন খারাপগুলো
পেয়ে বসে আমাকে।
দিনের আলোয় দূরে রাস্তায়
ডানায় শিশির মেখে
বুঁদ হয়ে বসে আছে শালিখের দল।
রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে
সোনালী রোদ্দুর এলে মেঠোপথে
ব্যস্ততা নেমে আসে
এই পৃথিনীর বুকে;
কবেকার ভুলে যাওয়া কবিতার পঙতিতে
ফিরে যায় মন
অভিমানী স্মৃতির অতলে;
কিভাবে ফিরিয়ে দেবো তাকে বলো আজ!