Site icon আলাপী মন

কবিতা- প্রকাশিত চরণ

প্রকাশিত চরণ

-অতীশ দীপঙ্কর

 

 

যা ঘটবে তার জন্য কেবল আমিই দায়ী নয়
যা হয়েছে এই বেলায়, যা হবে ও বেলায়
তা কিছুটা যদিও অনিবার্যতায় হয়,
অনেক কিছুই খন্ডাতে পারতাম যদি ছাড়া যেতো বিনয়।
যা খুবই কঠিন,হাতেহাত যদি রাখতে পারতাম
সহজেই দুর্নিবার ঘুর্ণি থেকে বাঁচতে সংঘবদ্ধ হতাম,
হাতের রেখা থেকে অব্যহতি পেতাম।
কপাল না চাপড়ে যদি অদৃশ্যকে টেনে হিঁচড়ে
মাটিতে টেনে নামিয়ে সকলের সামনে আনতাম
যাদের সবাক নির্দেশে সব কিছু ওঠে-বসে।
পৃথিবীর আলো আমার তোমার সকলের
এই মেঘ-বৃষ্টি,সক্রিয় আকাশ,
নদী যে গিয়ে মেশে ঝড়ের সমুদ্র নির্জনতার
সৈকতে,তাও চলে কয়েকটি অঙ্গুলি হেলনে সকলের অংশ।
অদৃশ্য সুতোর টানে নিত্য নতুন মুখ
আদি অনন্ত সমতলের জন অরণ্যে,
অথচ পুতুলের মতো নাচায় সকলকে যুগের পর যুগ,
সকলে হাত পা নাড়ি,অন্ধকার ঘণায় রাত্রির তোরণে।
সুখ-দুঃখ ভালো-মন্দ সবই পছন্দ-অপছন্দ ছন্দ,
যা হবার নয় তাই হচ্ছে বলে
নিস্পাপ শিশু যৌবনের আগেই হচ্ছে ছিন্নভিন্ন,
প্রখর গ্রীষ্মে পুড়ে বর্ষা তবুও আসে ইচ্ছে করে।
একঢাল কালো চুলে ফুল ফোটে গন্ধ আসে
গাঙ ভরা উদ্বিগ্ন-যৌবন যুবতী মেয়ে,
দক্ষিণের কাশফুল মাঠে শয়তান বেড়ে উঠে
বন্যাত্র নদী চড়ে ফুলের সাথেই খেলায় মাতছে।
কে এই নাটকের নাট্যকার,কোথায় কর্মশালা?
নায়ক -নায়িকা পার্শ্বচরিত্র সকলেই খুব চেনে,
দৃশ্য পট তেমনি তৈরী যা লিখে আনা,
হাসি কান্নার দৃশ্যে ভাড়াটে ভায়োলিন বাদককে অনেকই মানে।
সকলেই খবর রাখছে বিধাতা আসলে
রিং মাষ্টার নয়,সার্কাসের মালিক,
নেপথ্যে নাট্যকার আর রন্ধ্রে রন্ধ্রে নাট্যকলা থাকলে
উপসংহার টানবে পরিচালক তার মর্জি মাফিক।।

Exit mobile version