ঊনিশ-কুড়ি
-শিলাবৃষ্টি
মনে আছে কবি, সেই ঊনিশ-কুড়ি বয়েসটাকে?
সব যেন কেমন ছিল এলোমেলো মানো তাকি?
অকারণে মনে মনে স্বগোতোক্তি
অকারণে এলোমেলো হাওয়া মনে……
অনেক রাত তোমায় জাগিয়ে রাখতো
তারা দেখে দেখে পায়চারি ছাদে
কখনো মেঘের আড়ালে থাকা
বাঁকা চাঁদটা উঁকি মেরে তোমায় দেখে যেত।
হঠাৎ আসা বৃষ্টি তোমায় ভিজিয়ে দিলে
খুশি হতে অকারণে সেদিন মিথ্যে নয় তা।
বিকেলের পড়ন্ত রোদে-
কাঁধে শান্তিনিকেতনী ব্যাগটা ঝুলিয়ে
সেদিনও বেরোতে তুমি……
হয়তো কোন রুবি রায়ের
বাস থেকে নামার অপেক্ষায়
গুটি গুটি পায়ে এগোতে বাসষ্টপের দিকে।
মিথ্যে বলোনা কবি।
ভিক্টোরিয়ার অল্প আলোয়
খোলা বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে
কোন এক বনলতা সেনের
পাখীর নীড়ের মতো চোখে চোখ রেখে
কবিতার রসদ পেতেনা সেদিন?
কিংবা শোনাতে তাকে জীবনানন্দ?
মনে করে দেখো কবি
একবার হাতের মোবাইলটাকে বিশ্রাম দাও,
ফিরে যাও-
ফিরে যাও কবি ঊনিশ কুড়িতে।