শীত যাপন
-দীপ্তিমান ভাণ্ডারী
কতদিন হয়ে গেল
তোমার সাথে বিকেল দেখিনি
সূর্যডোবা নদীর পাড়ে।
চলো, আজ সন্ধ্যের কুয়াশা মাখি
বড় রাস্তার মোড়ে – হ্যাঁ, দুজনেই।
তারপর ভাগাভাগি করে নিই
একখন্ড চাদরের উষ্ণতা।
তুমি আমার ঝাঁকরা চুলে
বিলি কাটতে কাটতে বলবে
পলাশের কথা, শিমূলের কথা,
আর আমার শিরা রক্তে
জেগে উঠবে ভালোবাসার দূরন্ত আগুন।
চলো, আজ রাত্রির অন্ধকারে
গুনগুন কবিতা শোনাই তোমাকে।
সৃষ্টির উন্মাদনায় কেঁপে কেঁপে উঠুক
তোমার সদ্য যুবতী হৃদয়।
ভালোবাসার দূরন্ত আবেগে
ঝরে পড়ুক অসংখ্য টুপটাপ হিম।
তুমি বসো আমারআগা ঘেঁষে গভীর হয়ে,
যেভাবে পাখিরা পালকের ভিতরে
খুঁজে পেতে চায় শারীরিক উষ্ণতা।
কেটে যাক দূর্দান্ত সেই শীতের রাত।
চলো, এভাবেই চলুক আমাদের শীত যাপন।