তোমায় কি দিই উপহার?
–অমল দাস
সায়হ্নে ধূসর কালে মিশে যাই সশরীরে
পিষে যাই দেয়ালের কোণে,
নিশীথের বনে তুমি চন্দ্রিমা সাথে লয়ে
এসেছিলে মনের গহীনে!
জীবন তো হেঁটে ছিল বালুকা বেলায়
পিছু ডাকেনি কখনো আর কেউ!
জ্বলন্ত রোদ্দুরে ছায়া হয়ে তরু তলে
তুমি, দিয়েছিলে অনুপম উচ্ছ্বল ঢেউ।
যতগুলি ঝিনুক কুড়িয়ে পেয়েছি, হাতের-
আড়ালে নোনা জলে সব,
ফেনিল স্রোতের ফেনায় উঠে এলে তুমি
বহু শঙ্খ সমুদ্র কলরব।
নিথর পাথর বেশে জড়া জীর্ণ প্রহরে
আমি, ধীর ক্ষয়ে শল্কমোচন;
মরুর জ্বলা হতে শৈল্পিক দ্বারে এনে
তোমা হাতেই কালিমা শোধন।
এই সুরভিত স্নিগ্ধতায় শিহরিত অবয়ব
তোমার আহূতি আমার অহংকার,
ফিরে আসা চেনা পথে বাঁকে বাঁকে তুমি
ভাবি তোমায় কি দিই উপহার?