বহ্নি নও, তুমি বন্যা
-অমল দাস
সেদিন তুমি গর্জে ওঠোনি দাওনি ধারালো মতবাদ
যে দুঃখের মেঘ ছেয়েচো উপমায় সেই ছায়া দিনরাত।
সেদিন তুমি নীরবে মাটি ফেটে গেলে পাতালপুরে
প্রতিবাদের জুতোটা সমাজে পারলেনা দিতে ছুঁড়ে!
রাজসভাতেও যেদিন তোমার খুলল শাড়ি টেনে,
সেদিনও তুমি কৃষ্ণ স্মরণে, প্রতিবাদ না হেনে।
শকুন্তলাও ন্যায়ের তরে তোলেনি প্রশ্নবাণের তীর,
যেদিন পুত্র হাতে রাজার দ্বারে, দৃশ্য ভিক্ষাবৃত্তির।
সুভদ্রা তোমার কৃষ্ণ ভ্রাতা, তবু দোয়াজ ঘরে দিলে
পাটরানীও না, পুত্র হেরে তুমি কেমনে নীরব ছিলে?
মনে পড়ে অহল্যা তোমার কিই-বা ছিল দোষ!
ইন্দ্রকেও আর বললে না, এবার পাথরটাকে চোষ!
ঈশ্বরীয় যুগ হতেই তোমরা সত্যের অগ্নি কন্যা,
পারনি জ্বালতে প্রদীপ শিখা, আজও দুচোখ জুড়ে বন্যা।