Site icon আলাপী মন

কবিতা- প্রেমে পড়া

প্রেমে পড়া
-কাজল দাস

 

 

ভালো লাগে ভালোবাসতে এটাই আমার দোষ
আসলে কি- প্রেমে পড়ার নেই কোনো বয়স।
যখন তখন,যেথায় সেথায়, সকাল কিংবা রাত,
প্রেমে পড়ি, আসলে যে আমি প্রেমিকের জাত।

ছোট্ট বেলার পুতুল খেলায় প্রথম যেদিন দেখি,
সেদিনই প্রথম হাতে খড়ি- প্রেম করতে শিখি।
মাটির রুটি কাদার পোলাও যেইনা মুখে দিলাম,
সেদিনই প্রথম ধরাস করে প্রেমে পড়ে গেলাম।

প্রেয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম- জনগণ মন,
কি বলবো লজ্জা লাগে, তবুও বলি শোনো-
নতুন নতুন দিদিমণির দেখা যখন পেলাম,
নতুন করে আমিও আবার প্রেমে পড়ে গেলাম।

বুড়ি ছোঁয়া খেলার মাঠে পাশের বাড়ির মেয়ে
আচমকা দৌঁড়ে এসে আমাকে দিল ছুঁয়ে,
চিকন চিকন নরম হাতের যেই না পরশ পেলাম,
কি আর বলি নিয়ম মতই প্রেমে পড়ে গেলাম।

প্রাইমারি গেল এবার হাই, বেশ হয়েছি বড়
মিনি স্কার্ট আর টপেরা সব ক্রমশঃ হচ্ছে জড়,
আহ্লাদে আটখানা, এ কোথায় আমি এলাম,
আবার আমি প্রেমে পড়ার সুযোগ হাতে পেলাম?

তারপর যেদিন একটু বড়, বড় বলতে উনিশ
প্রথম প্রেমের চিঠি পেলাম রঙিন খামে, ইশ্
সবই যেন এলোমেলো, স্বর্গ হাতে পেলাম
কোনো দিকেই না তাকিয়ে প্রেমে পড়ে গেলাম।

সেদিন ছিল বিয়ে বাড়ি বেশ মনে আছে,
বসে ছিলাম রিসেপশনে বৌ-মনির কাছে।
ঠোঁটের পাশে তিলের নদী দেখতে আমি পেলাম,
তিলোত্তমার প্রেমের নদে হাবুডুবু খেলাম।

লং ড্রাইভে বেড়িয়ে ছিলাম বন্ধুদের নিয়ে,
একটি মেয়ে একলা দেখে হাত দিল বাড়িয়ে।
ব্যাকসিটা ফাঁকাই যখন সুযোগ নিয়ে নিলাম,
অগত্যা মধুসূদন প্রেমে পড়ে গেলাম।

তারপর যতই বয়স বাড়ে প্রেমও বাড়ে তত
আসতে যেতে যাকেই দেখি লাগে তোমার মত।
তোমার মাঝে সব চরিত্র খুঁজে আমি পেলাম,
শেষ বারের মত তোমার প্রেমে পড়ে গেলাম।

মৃত্যু যখন সন্নিকটে প্রেম হয়েছে উধাও,
হসপিটালে একলা ঘরে ডুবছে প্রেমের নাও।
এখন শুধু প্রেম বলতে যমের দুয়ার চিনি,
চোখ খুলতেই নার্স বলল- কেমন আছো তুমি?
আবার যেন নতুন করে জীবন খুঁজে পেলাম,
কি আর বলি- ইনসাল্লা প্রেমে পড়ে গেলাম।

Exit mobile version