Site icon আলাপী মন

কবিতা- পূজনীয় আঁধার

পূজনীয় আঁধার
অযান্ত্রিক

 


এক এক করে পেরোয় চাঁদের সিঁড়ি ,তঞ্চকতা বাড়ে
ধীরে ধীরে ক্ষয়ে আসে আলো জোৎস্না আঁধারে।
এই সেই জোৎস্না এই সেই আলো ,অনন্ত পাপাচারী তৃষা,
শতত পূর্ণ লগ্না প্রবাহিনী, কুহক ,মেয়ে ভোলানো প্রভা,
চঞ্চলতা ছড়িয়ে একাকী রাতে, বলিয়েছে কতবার,
“আহা,কি মনোরম কি অদ্ভুত সুন্দর, অলীক প্রবর”
সে দোষেই আজ ক্ষয়িষ্ণু রূপালী জীবন ,বর্ধিত কৃষ্ণ গহ্বর।
জানি,বেশ জানি, প্রহেলিকায় ভাসিয়েছো কত নবদম্পতি,
উপমার হাত ধরে বিপরীত গোপন গাঢ় স্বরে,
বলিয়েছ ,নারী ! নীতু চাঁদের মত সুন্দরী ,নিখুঁত জোৎস্নাতটে।
কবির ভাবনায় ভাবনায় ওহে মৃদ পদচারিণী,আমি জানি,
কতটা মিথ্যের দোষে তিলে তিলে ক্ষয়ে যাচ্ছো তুমি।
পূর্ণিমা আলোয় যতদিন যতবার বিবিধ উপায়ে ,
প্রলুব্ধিত চয়নে বলেছো তৃষ্ণার স্বরে ,আয় আয়।
আমি আসিনি ,আমার আসিনা, আমরা জানি,
জানি তুমি মিথ্যাচারী ,গৃহত্যাগী চেতনাকে ভাসাবে বার বার,
আমাদের অনুগ্যতঃ রাখা আছে অমাবশ্যার কাছে,
আমাদের পূজিত অন্ধকার ।

Exit mobile version