কিছু কথা ও চিন্তা
– মঙ্গল মন্ডল
অন্ধকারটা আলো হারা।সে কোনো দিন আলোর দেখা পায় না, আলোতে তার মৃত্যু।যেমন লবণ জলে মৃত্যু বরণ করে ঠিক তেমনি অন্ধকার আলোতে । কিন্তু ভেবে দেখো আলোর উৎসগুলো সব ফুরিয়ে গেলে পড়ে রবে ওই দৈত্য অন্ধকার ,যা কখনো ফুরাবে না।,আলো তাকে ক্ষণিকের জন্য মৃত্যু দিতে পারে ।ঠিক যেন কিছু ক্ষণের জন্য জ্ঞানহারা করে রাখার মতো।আসলে অন্ধকার অমর হয়।যদি জীবনটাও বর্ণনা করা যায় , দেখা যায় জড় পদার্থের থেকে সৃষ্টি এই শরীর ক্ষণিকের জন্য আলোকিত হয়ে সজীবতা ধারণ করে ।যেই তার মাঝে থেকে প্রাণটা চলে যায় সেই তার মাঝে পুনরায় পূর্বাবস্থা জড় পদার্থে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।মূল কথা হলো যে জড় স্থায়ী আর জীব ক্ষণিকের জন্য।অপরদিকে অন্ধকার স্থায়ী আর আলো ক্ষনিকের জন্য।
একটা নক্ষত্রের সব আলো ফুরিয়ে গেলে সে অন্ধকার জগতে প্রচন্ড দৈত্য হয়ে ওঠে,আর ব্ল্যাকহোলের রূপ নেয় ।নঞর্থক শক্তি চিরস্থায়ী ,সদর্থক শক্তি হয়তো বাঁধ হয়ে তাকে ক্ষণিকের জন্য আটকে রাখতে পারে মাত্র,যখনই সদর্থক শক্তি ম্লান হবে পুনরায় নঞর্থক শক্তি প্রকাশ পাবে।তাই যে কোনো মানুষের মধ্যে সদভাবনার চেয়ে অসদ ভাবনা প্রভাবিত হয়ে থাকে বেশি।
সততা অসততাকে কিছু ক্ষণের জন্য অস্বচ্ছ করতে পারে মাত্র, কিছু লোকের প্ররোচনায় হোক আর নিজস্ব ষড়রিপু বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই হোক একটা মানুষ অসৎ হয়েই পরে কিন্তু তার কোনো দোষ নেই।অসততার মধ্যে ষড়রিপুর দুর্বলতা বাস করে, মায়াটা ওইখানেই বাঁধা পড়ে যায়।চিরসত্য কিছু কথা আলোচনা করে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে , সমস্ত সংসারে অন্ধকার লুকিয়ে থাকে শুধুমাত্র আলোর জন্য ।কিন্তু কেউ আলোকে সর্বদা ধরে রাখতে পারে না তাই পুনরায় অন্ধকারের জাগরণ ঘটে । যেদিন আলো আবার ফুটে ওঠে অন্ধকার আপনা আপনি হারিয়ে যায় , কিন্তু বিলুপ্ত কোনো দিন হয় না।তোমার মধ্যে আলো জাগিয়ে রাখো যতটা পারো।কিন্তু কখনো ভেবো না অন্ধকার শেষ হয়ে গেছে। তবে আলোই তার একমাত্র নিরাময়।