পরজন্মে নারীই হবো..
-রীণা চ্যাটার্জী
শ্যামলিমা, জলভরা মেঘে দুঃখগুলো ঢাকা!
প্রকৃতির সাজে শুধুই ‘চিহ্ন’ করে রাখা
নম্র সাজে সাজবে নারী? কেবল নারী?
সেটাই নিলাম মেনে.. হোক তাই যদি হয়
তবে আজকে আর আকাশের সাজ নয়।
আকাশের কোলে আছে শুধুই উদারতা,
যুগান্ত অভ্যাসে নিঃসঙ্গ, সহ্যের মৌনতা,
কেমন যেন আলগা-ছেঁড়়া ভাব
দূরে থাকার উদাসীন, নিরুত্তাপ
সুখ-দুঃখ বোঝাবার নেই ভাষা
কাছে পাবার নেই তো কোনো আশা।
ভেবেছি তাই খোলা বাতাস হবো;
মাতাল হাওয়ায় বাউল সুরে দুলবো,
মিটিয়ে নেবো স্বাধীনতার আস্বাদ
আসা-যাওয়ায় যতেক আছে সাধ।
আমার যদি ইচ্ছে জাগে মনে
উড়বো তখন ব্যাকুল সমীরণে
আকুল হবো, আকুল হবো আমি
ইচ্ছে- সুখে হোক না নারী দামী।
তপ্ত, না হয় গুমোট ভরা হাওয়ায়
নিঃশ্বাসটা অচেনা যেন শোনায়!
বুঝবে তুমি? তোমার তৃপ্ত শ্বাসে
আছি আমিই লুকিয়ে আশ্বাসে।
পারি যদি, নদীর সাজে আসতে,
বইবো আমি নিত্য- নবীন স্রোতে
মলিনতাই যদি খোঁজো, ঘোলা জল বলে
অশান্ত এক তরঙ্গ হবো, ডুবিয়ে অ-তলে
তুমুল আক্রোশী বন্যা হয়ে ভাসিয়ে সব,
ভাসিয়ে নেব নকল- ঝুটা সভ্যতার শব।
তবুও যদি দিতে পারো এক বিশ্বাসী বন্ধন
জীবন ভরে রাখবো মাঝে ভরসার আলিঙ্গন।
ধরা-ছোঁয়ার পঙ্কিলতা থেকে অ-নে-ক দূর
অবগাহনে খুঁজো শুধুই পবিত্র এক সুর।
আর কিছু হোই বা না হোই, নারীই হবো
আসছে জন্মে। এ জন্মের দাবিটুকু রাখবো
মনে। বলবো তখন গান, কবিতা, সমবেদনা? করুণা আর ভালো লাগে না। ওই সব কথা আর লিখোনা।
বলবো তখন, নারী দিবস? একদিন যে বেজায় কম!
মন ভরে না, বাঁচতে তো চাই নিজের মতো একটা জনম
থাকবে না তো নারী-পুরুষ বা লেনা- দেনা
বলবে আমায়? পণ্যে তোমায় যায়না কেনা…
বলবো তোমায়, মানুষ হবে? মনের মানুষ
মন যে খোঁজে মুক্তিস্নান, আর মনের মানুষ।
যদি থাকে পরজন্ম নারী হবো, হ্যাঁ, আবার নারীই হবো।
ব্যবধানটা মিটিয়ে দিতে হবে তো সেদিন মনের মানুষ?
পরজন্মে ফের নারী হতে চাওয়া এক দুঃসাহসিকতা , ধন্য এ কলম। এগিয়ে চলুক…
নারী জন্মের সবটুকু সাধ মিটিয়ে নিতেই তো আসার ইচ্ছা। ধন্যবাদ বন্ধু
অপূর্ব, অনবদ্য….