প্রবন্ধ- দিবস পালনে নয় পাল্টাক দৃষ্টিভঙ্গি

দিবস পালনে নয় পাল্টাক দৃষ্টিভঙ্গি
– রাণা চ্যাটার্জী

 

 

মেয়েদের যারা কাঠপুতুল ভাবে,যেন একটা দিন বরাদ্দ করলেই সম্মান দেখানো সেই সব ন্যায় বাগিস পুরুষ দের জানাই কিচ্ছু চায় না নারী-নিজেরা সুস্থ রুচির পরিচয় দাও পুরুষ এটাই বড় প্রাপ্তি হবে নারীদের।প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্তই নারীদের লড়াই করে সচেতন হয়ে চলতে হয়। মেয়েরা গড়তে জানে প্রয়োজনে দমন করতেও।

ওহে নিজেদের পিঠ চাপড়ানো সেরা বলে উল্লসিত নাক উঁচু পুরুষ সবাই কে অবশ্য এক অভিযোগে বিদ্ধ করা অনুচিত জানি,কেউ ভুল ভাববেন না। সেই চিরাচরিত কাল থেকে ছোট বড় নানান নিয়ম নীতির শেকল চাপিয়ে নারীদের কব্জার দৃশ্য বড্ড খেলো লাগে।ছোটতে ধুপ ধুনো জ্বালিয়ে টিভির পর্দায় কি হয় কি হয়  অপেক্ষার চোখে মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ পর্বে রাস্তাঘাটে ভিড় কমে গেছিল।  খুশি হওয়া নিয়ম নির্ধারক গণ তোমাদের সেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া যে কেমন স্বার্থ সিদ্ধির অজুহাত তা কালে কালে সকলের কাছে পরিষ্কার।আদতে খেলো করে ফেলেছো নিজেদের  ভাবমূর্তিকে এই ভাবেই নারীদের ওপর পরাধীনতার শেকল পড়াতে গিয়ে যুগে যুগে।

পোস্টারে ফেস্টুনে ছয়লাপ নারী পুরুষ সমতার বুলি আউড়ানো পুরুষ,গলার পেশিতে টান পরে গেল মঞ্চ বেঁধে নারীদের সম্মান দেবার কথা বলে আর বাড়িতে এসে হম্বিতম্বি খবরদারি। একবারও কি মনে হয়না আয়নায় নিজেদের চরিত্রটা কে দেখি কখন ঢুকছি বাড়ি,কি কি আচরণ করছি কাকে ঝাড়ি মারছি বা ছুঁক ছুঁক! কবার মায়ের পাশে,সহ ধর্মিনীর পাশে বসে কি কি সমস্যা ওনারা ফেস করছে জানতে চেয়েছো, কতবার বোনকে বলেছো চল তোকে পড়তে দিয়ে আসি নিরাপত্তা দিয়ে!  সবাই বরং তার থেকে গুলতানি,পাড়ার ক্লাবের রকে বসে কোন মেয়ের ফিগার কেমন আকর্ষণীয়,শিথিল হচ্ছে ,বিধবা মহিলাটি কখন ফেরে,অফিসে ঠিক কি করে কার সাথে ফষ্টিনষ্টি সেসব আড্ডায় নিজের মত প্রতিষ্ঠা হাস্যরস পরিবেশন করতে করতেই দিন কাবার। না না রাগ করবেন না আপনি তো এসব দোষে দুষ্ট নন কেন ফোস্কা পড়ছে গায়ে মশাই,আহা শান্ত হন। সেই তো ক্লান্ত হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে আপন কাজে মনোনিবেশ আর এদিকে অতিথি এলে বাড়ির মহিলাদের খাবার টা স্বাভাবিক ভাবেই ধরে দিতে হলে কেউ জিগ্যেস করার ও প্রয়োজন মনে করে না কি খেলো সারাদিন ফ্রি তে সংসারের কাজ করা মহিলারা।অবশ্য এ দিন কাল ,পরিবার চিত্র বদলেছে “ছোট ছোট ফ্লাট চিন্তায় গালে হাত”দেওয়া আমাদের।এখন আমরা নিজেদের নিয়ে একটু বেশি সচেতন স্বার্থপরতার গন্ডি টানতে।নারীদের কে কেবল ভোগ্যপণ্য হিসাবে দেখানোর,দেখার মানসিকতা আরো পাল্টাক। আরে জানিতো খারাপ ভালো মিলিয়ে মানুষ,নারীরাও ধোয়া তুলসী পাতা নয় আপনি আচরি ধর্ম অপরকে শেখাও এটাই না হোক মান্যতা পাক।আসুন না বাড়িতে সন্তান দের শেখাই মা কে,দিদিকে,দিদা- ঠাকুমা,কাজের মেয়েটিকে সম্মান দিতে আর সে যাতে আপনার আচরণ থেকে বাজে কিছু না শেখে নিজেরাও সচেতন হই।

Loading

Leave A Comment