তুমি থেকো
– অমিতাভ সরকার
ছুঁতে চাইনি, কল্লোলিনী স্রোতের মতো দেখতে চেয়েছি।
পাহাড় থেকে ঝরে পড়তে, জলপ্রপাতের মতো শব্দের বিস্তার করতে।
কিম্বা ঝর্নার মতো নানা মুদ্রায় নর্তকীর মতো, বাংলার রূপের সাথে মিশে যেতে।
বাংলার নদী নালায়, উপচে ওঠা জলে প্রান্তর জনপদে, পুকুরে, খালে, পানকৌড়ির ডুবসাঁতারে শঙ্খচিল অথবা গাঙচিলের দৃষ্টিতে।
পানা ভর্তি পুকুরে, শাপলা শালুকের হাসির মধ্যে।
পদ্মপুকুরের নীল জলে।
শুধু তোমাকেই দেখতে চেয়েছি।
বকের দৃষ্টিতে নতুবা পায়রার সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে।
মাঠ ভরা ফসলের ক্ষেতে, অজয়ের ঘোলা জলে, কখনো বা ভাগীরথীর চরে মধ্যাহ্নে চোখাচোখির অলস ভালোবাসায়,অথবা শিরীষের ডালে।
বাবলা বনের ঝোপঝাড়ে,হিজল তরু ছায়ে। দোয়েল, শ্যামা ,শিষপাখিদের ডাকে।
পালং শিষ কিংবা নোটেশাকের শিশির বিন্দুতে শুধু তোমাকে দেখতে চাই।
কুল, শাল, বেল, সেগুনের ঝরাপাতার মর্মর শব্দে তোমাকে অনুভব করতে চাই। প্রজাপতির পাখনার মত রঙ্গীন হতে চাই। গিরগিটির মত নানা রঙে রূপসীর মতো দেখতে চাই।
রাজ হংসীর গলার ছায়ায় নতুবা বাংলা মায়ের আঁচলের শীতলতায় আমি বেঁচে থাকতে চাই। মা বলে ডাকতে চাই।
তোমার ভাষা..তোমার স্নেহ, তোমার দুঃখ বুক পেতে মেনে নিতে চাই।
বাংলার মুখ চেয়ে চেয়ে দেখতে চাই।
বাংলার মাটিতে বারবার জন্মে মাগো তোমার মুখ দেখতে চাই।
নিকিতা তুমি পাশে থেকো প্রাণ ভোরে এই বাংলার শ্যামলীমায় হাসি কান্নায় যেন শীতলপাটি পাততে পারি। অস্তাচলের সূর্যকিরণে আবীর রঙে নাইতে পারি।