দুজনে-দুজনার
-সুমিতা পয়ড়্যা
এই শোন না; আমি তোমার সাথে হারিয়ে যেতে চাই।
নেবে কি আমায়!নেবে কিনা বল!
বলতে এত দ্বিধা কেন!একী সমুদ্রমন্থন!
অমৃত না বিষ; ধর বিষটাই তুমি পেলে।
তবে কি আর আমাকে ছুঁয়েও দেখবে না!
বিষে বিষে বিষক্ষয়ও তো হতেই পারে।
দুজনে দুজনার হয়ে জল-মাটি-আকাশের সঙ্গমে পৌঁছালাম।
ভালো হবে না বলছ!অবাক হবার কি আছে!
এক আত্মা, এক হৃদয়, এক অঙ্গ–তুমিই তো বল—–
আমরা হব চলতি হাওয়ার পন্থী; দুঁহুরে মেলাবে দোঁহে।
জোয়ারে ভাসব, ভাঁটায় যুগলে হাত ধরে হাঁটব।
প্রতিটি কদম একসাথে ফেলব।পারবে না!
এক অমোঘ স্পর্শে অবগাহন করব।
নীল আকাশ, নীল সাগর, নীল হব বিষে।
খুব ভালো হবে তাই না!বল না!বল না গো!
ওই দিগন্তপারের বাতাস কানাকানি করবে;
দ্রুত হাওয়ার বেগে ছুটে চলবে উদ্দামিত হৃদয়ের ছান্দিক সুর;
দুইজনাই পাগল হব;অনন্ত ছায়াপথ পার হব।
রাতের তারাদের চাহনিতে নৈসর্গিক প্রেম বিরাজিত হবে উন্মাদনায়।
চতুর্দিক উদ্ভাসিত দিগন্তপারের আলোয় গভীর গহনে দুজনে-দুজনার; আজন্ম আপনার।