অবগাহন
-সুমিতা পয়ড়্যা
তুমি বল আমি নাকি দার্শনিক!
আমার নির্যাসে অতি সুগন্ধীর বাস,
আমার ছোঁয়ায় উপচে পড়ে বুকে শোনিত ধারা;
শুষ্ক পাহাড়ের আমি নাকি পাগলা ঝোরা!
কোকিলের তানে কুহু কুজনে বসন্তের ফল্গুধারা,
একমুঠো উষ্ণ পরশ হৃদয়ে তোলে ছিন্নবীণার সুর;
অনভিপ্রেত নিয়ন আলোয় ভিজিয়ে দেয় আঁধারের বিষন্ন ব্যথাকে,
পরিত্রাণ পাও ক্লান্তি-শ্রান্তির অনাচার থেকে।
দর্শিল মনের সব ক্ষোভ রঙিন হয়ে ওঠে আমার কবিতায়।
অন্তহীন সময় বয়ে নিয়ে যায় এক মুহূর্তে
কান্নার ভাঁজে ভাঁজে সুখ আসে আবেগের মোহনায়।
বুদ্ধির অবারিত দ্বারে ত্রিনয়নদর্শী অভিমানী,
কথার বাষ্পে শূণ্যতাগুলো গর্জন করে নিঃশব্দে
পিয়াসী মনের আকর্ষণে এক অদ্ভুত অনুভূতির বিচিত্র সাজ, করছে রাজ
জলন্ত উচ্ছ্বাসে যন্ত্রণাগুলো সুখ পায়।
রডোডেনড্রন, হাসনুহানারা পাপড়ি মেলে হাসির রাশিতে
দর্শিত দর্শকের বর্ণনায় উৎসুক মন
এক দীর্ঘ সুখে আবিষ্ট সুঘ্রাণ নেয়
তোমার দার্শনিকতার অবগাহিত স্রোতধারায়।