কবিতা- রক্ষকের প্রতি

রক্ষকের প্রতি
-সঙ্কর্ষণ

 

 

তোমার সামনে এসে দাঁড়ালে
ঘাতকের বন্দুক নীচু হ’য়ে যায়,
ধর্ম ব’লে কিছু থাকলে চিৎকার ক’রে কেঁদে ওঠে।
ভেবেছি ওপরে উঠছি এক পা, এক পা ক’রে…
হঠাৎ রক্তে পিছলে প’ড়ে গেলাম।

তুমি নাকি বহুবার জেলে গিয়েছিলে,
আজকের নেতারাও টুকটাক ‘জেলে-টেলে’ যায়।
সাহেবরা শিখিয়েছে ধরণীও কারাগার
বেঁচে আছি তারই মানে ফাঁদে প’ড়ে গেছি…
আমাদের গরাদেরও দু’টি ক’রে হাত, দু’টি পা।

এপারে-ওপারে থেকে তুমি যেই নেই হ’য়ে গেলে
চারপাশে দেখি, ও কারা ঘিরে ফেলেছে আমাদের বাড়ি
মনে হয় ছুটে যাই টুঙিপাড়া ছুঁতে
কেটেছে প্রতিটি দিনই ধানমণ্ডিতে…
ভালোবেসে এইবারে কাছে নাও ‘ভালো-ভাষা’ দিয়ে।

আগামীর ভোর হ’লে বিশাল এক পতাকা ওড়াবো
গন্ধ ছড়াবো, কোনো রঙ থাকবেনা।
বেড়াটুকু উঠে যাবে শহরে শহরে,
না বলা গল্পগুলি শুনবে রাসেল… বন্ধু, পিতাও তুমি
কলকাতা, ঢাকা দু’য়ে মেলাবেন রবি, নজরুল।

হত্যাকারীর হাতে উদ্যত ছুরি
কখনও সভয়ে যেন চেঁচিয়ে না উঠি
“মজহব ইয়ে নেহি শিখাতা সায়েব”…

ছাই দিয়ে লিখে দিও, “আর কোনো বুকে হেন
আঘাত হেনোনা যেন শোনো ভাইজান”।

Loading

Leave A Comment