আবার যদি দেখা হয়
-জিৎ সাহ
(1)
এলোমেলো ছন্নছাড়া কিছু শব্দের কোলাজে,
ঠাওরে ওঠা ভীষন দায়;
—হায় !!
তুই আমার কতটা আপন ছিলি,
আর কতটাই বা পর।
জানি, এখন তুই অন্য কারোর সাথে বেঁধেছিস ঘর !!**
তবুও , ভয় হয়!! তুই তো আমার কেউ নয়, বলতে পারিস!
মেঘলা আকাশ দেখলে পরে শিরশিরানি বাতাস এসে,
ফিস্ ফিসিয়ে কানে কানে কেনো যে শুধু তোরই কথা কয় ?
আচ্ছা ! –সত্যি করে বলতো আমায়,
আজও কী তুই রাত্রি জেগে আমার কথাই ভাবিস ?
নিঝুম রাতে একাদশীর চাঁদ যেমনে জেগে রয় ।
ভয় হয়। আসলে তুই তো আমার কেউ নয়।।
(2)
আবার যদি দেখা হয় দু’জনার তোর সাথে আমার,
অচেনা কোন এক পথের বাঁকে এমনই এক বৈশাখে ।
কোন এক কবিতার শহরে অচেনা কোন শব্দের কোলাজে …
যে শব্দের কোলাজে/বন্ধনী হতে মুখ ফিরায়ে নিয়েছিলি , কথা দিলাম।।
সেই শব্দের বাঁধনেই বাঁধবো তোরে নিশ্চয় একদিন …
এ জীবন বড়ই ক্ষীণ ,
—কারো কাছে রঙীন
আবার কারো কাছে বড় দীন-প্রানহীন যেন !
যে যার, সে তারই রবে—
শুধু তোর এই নীরবতা যেন আল্টামিরার চালচ্চিত্রের মত
না বলা কথা না জানি কবে কত !
যা পারি নাই কেহ
না আমি, না তুই–কেহ পারে নাই।
শুধু বসন্ত আসে বসন্ত যায়,
নির্জন ফুটপাথ, ঝরা পাতা
এই অসুখের শহরে কে বা রাখে কার বার্তা ?
সেই নিঃস্তব্ধ দুপুর, পাতা ঝরা বসন্ত
নির্জন ফুটপাথ ধরে তোর একলা হেঁটে যাওয়া
একান্তে বিরহের গান শোনাবে তোর পায়ের নূপুর।।
আবেগে ভাসবে আবারও আমার কাব্যের শহর…
হয়তো আবারও একটা সুনামি এসে
অথবা কালবৈশাখীর বেশে
তছনছ করে দিয়ে যাবে সমস্ত কবিতা কাব্য আর কাব্যিকতাকে..
হয়তো আবারও আকুল হবে ব্যাকুল হৃদয় ।
শুধু ভয় হয়—
আবার যদি দেখা হয় দু’জনার তোর সাথে আমার,
কোন এক পথের বাঁকে এমনই এক বৈশাখে ।
—কে শুধাবে কাকে, কেউ কি নেবে কারও খবর ?
আমি জানি এখন তুই অন্য কারোর সঙ্গে বেঁধেছিস ঘর !*
তবুও কেমন আছিস ?
কে শুধাবে তোরে
নাকি, ভালো আছি বলে
দু’চোখ বেয়ে নেমে আসা মেঘ লুকাবে তোর মেঘমুক্ত নীল আকাশের আঁচলে ?
—সেই আমার তুই !!
(4)
তুই ঠিকই বলেছিস–
এই ব্যর্থতা শুধুই আমার !
শেষবেলায়, আমিই তোকে ঠেলে দিয়েছি দূরে।
এই অসুখের শহরে,
ভালোবাসা আজকাল সত্যিই দুর্লভ।
সব ভালোবাসা সবাই শেষ অবধি ভালোবেসে যেতে পারে নাই
হয়ত আমিও তাই !
ভালো থাকিস। বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল,
আর পারলে ক্ষমা করে দিস।
—এই কাব্যের শহরে হয়ত আবার দেখা হবে তোর সাথে আমারই কোন এক ছন্নছাড়া কবিতার অসম্পূর্ণ শব্দের কোলাজে সম্পূর্ণতার অঙ্গীকার নিয়ে….