কবিতার কথা
– পারমিতা চ্যাটার্জী
কবিতা কালজয়ী নিজস্ব গতিপথে হেঁটে চলে
অতীতের স্মৃতি নিয়ে বর্তমানের হাত ধরে
আগামী ভবিষ্যতের পথে পথ দেখিয়ে।
সবুজের মাঝখানে মেঠো আঁকাবাঁকা পথ ধরে লিখে চলে চলমান ইতিহাসের কথা।
কখনও বা সবুজ দিগন্ত, নীল আকাশের মাঝে একটি ধ্রুব তারা, ধূসর মরুভূমির পথ,দূরন্ত নদীর প্লাবনে ভেসে যাওয়া গ্রাম, সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস, অগুনিত ঢেউয়ের ওঠাপড়ার মাঝে একটি নীরব রাত্রি, পাহাড়ের অটুট গাম্ভীর্যের নিস্তব্ধতা, সন্ধ্যা আকাশের পূর্ণিমার চাঁদ, অমাবস্যার অন্ধকারে জীবনের চড়াই উৎরাই পথ ধরে কবির তুলি টানে রঙের তুলি।
প্রেমের আকুতি, বিরহ বিচ্ছেদ বেদনা, জীবন যুদ্ধের তীব্র যন্ত্রণার অনুভূতি, জীবনের মূর্ত অনুভব কবি এঁকে চলেন সাদা ডায়েরির পাতায়।
স্রষ্টার মৃত্যু হয়না তাই, স্রষ্টা থেকে যায় তার অনাবিল সৃষ্টির রাঙা আঙিনার মাঝে।
মাঝে মাঝে পাতা উল্টে পাঠক খুঁজে নেয় অনেকদিনের কবিতা যা আজও বেঁচে আছে।
উৎসারিত স্রোতস্বিনী ঝর্ণার ঝরঝর শব্দ বেজে ওঠে কবিতায়, মনে পড়ে ছিল কোনদিন কখনও
এক চঞ্চলা ঝর্ণার গতিপথ তার রিনরিন নূপুর ধ্বনি আজও চলেছে বেজে কবির খাতায়।
এক শ্রাবণের কবিতার বৃষ্টি বাঁধা থাকে বুকে,
দোলা দিয়ে যায় তাকে ফাগুন সমীরণ ।
হে কবি হে মহান স্রষ্টা তাই তুমি অমর মৃত্যুহীন পথের এক ক্লান্ত পথিক।
যুগ থেকে যুগান্তরে বয়ে যায় এই সৃষ্টি।
বলে যায় নরনারীর অন্তরের কথা, ভালোবাসা,
হাসির আড়ালে থাকা গোপন কান্না সবই কবি
লিখে যায় তাঁর সাদা ডায়েরির পাতায়।
মাঝে মাঝে মনে হয়, “এ যে আমার মনের কথা, এ যে সবার প্রেমের অনুভূতি, সুখ দুঃখের নিরবিচ্ছিন্ন হাতছানি”, কেমন করে জানলে কবি অন্তরের এ অনুভূতি!
তাইতো তুমি কবি তাইতো তুমি অমর স্রষ্টা
বলে যাও মানুষের কথা, জীবনের কথা, জীবনে চলার পথের কথা, আমার কথা, তোমার কথা এঁকে চলো জীবন-মরণের শেষ ছবি পর্যন্ত।